ভোটার হওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন এনসিপির নেতারা। বৈঠকে এ দাবি উপস্থাপন করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
বৈঠক শেষে বিকালে আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংস্কারকে কোনো বায়বীয় অবস্থায় আমরা ফেলে রাখতে চাই না। যেকোনো সময়ই নির্বাচন হতে পারে। তবে তার আগে মৌলিক সংস্কার এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
ভোটার হওয়ার ও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স কমানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ তাদের তরুণদের ১৬ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে ধরে নিচ্ছে। আমরা দেখতে পাই, তরুণ প্রজন্মের কাছে যে পরিমাণ তথ্য থাকে, তাতে এই বয়সে তারা সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।’
সংস্কারকে কোনো বায়বীয় অবস্থায় আমরা ফেলে রাখতে চাই না। যেকোনো সময়ই নির্বাচন হতে পারে। তবে তার আগে মৌলিক সংস্কার এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন
সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কমিশনের কাছে মৌলিক সংস্কারের একটা রূপরেখা তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্র নিশ্চিতে মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন আবশ্যক।’
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী মনোভাবের যে উপকরণগুলো রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। যেখানে জনগণের ভোট, মতামত এবং অংশগ্রহণ সার্বিক নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) পক্ষে এনসিপির অবস্থানের কথা জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, এনসিসি নির্বাহী বিভাগকে জবাবদিহি করার এবং সাংবিধানিক পদে নিয়োগের কাজটি করবে। আমরা জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ আসনভিত্তিক করার এবং উচ্চকক্ষে ভোটের আনুপাতিক হারে আসন নির্ধারণের প্রস্তাব করেছি।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে বৈঠকে কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। আর এনসিপির পক্ষে বৈঠকে ছিলেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, আরমান হোসাইন ও জাবেদ রাসিন।
এমআর/টিএ