আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ছিলেন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, এখন বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের একই পদে দায়িত্ব পালন করছেন—পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এমন ঘটনাই তৈরি করেছে তুমুল বিতর্ক। মহিপুর থানার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সদ্য ঘোষিত ছাত্রদল কমিটির প্রচার সম্পাদক হয়েছেন সাকিব আল-হাসান রাফি, যিনি ২০২৩ সালের কলেজ ছাত্রলীগ কমিটিতেও একই পদে ছিলেন।
এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে—“রাজনীতিতে আদর্শের জায়গা কি তবে ফুরিয়ে এসেছে?” একইসঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যেও।
গত ৬ মে জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি করা হয় মো. রবিউল ইসলামকে, যার বিরুদ্ধেও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান রাজনৈতিক অচেনা মুখ আসিবুল হক। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পদবঞ্চিতরা, যারা সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি বাতিলের দাবি তোলেন।
সবচেয়ে বিতর্কিত নাম রাফি—একই পদে দুই ভিন্ন মতাদর্শের সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাফসান আহমেদ রাকিব মন্তব্য করেন, “একজন ছোট ভাই ছাত্রলীগে যে পোস্টে ছিল, ছাত্রদলেও সেই পোস্টেই আছে—শুধু সংগঠনের নামটা বদলে গেছে।”
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম রুপুসহ তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে সাকিব আল-হাসান রাফি ছাত্রলীগে যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমি কখনো ছাত্রলীগ করিনি, জোর করে নাম দেওয়া হয়েছিল। আমি সবসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী জানান, “আমরা জেনে-বুঝেই কমিটি দিয়েছি, তবে অভিযোগগুলো গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এসএস