ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাল্টা হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। টার্গেট ছিল উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের ১৫টি সেনা ছাউনি ও শহর। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শ্রীনগর, অমৃতসর, পাঠানকোট, জলন্ধর, চণ্ডীগড়, লুধিয়ানা, অবন্তীপোরা, জম্মু, ভাটিন্ডা, কাপুরথালা, আদমপুর ও ভুজসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও মিসাইল হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
ভারতীয় সেনা পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের লাহোরসহ একাধিক জায়গায় ‘এয়ার ডিফেন্স রাডার সিস্টেম’ ধ্বংস করেছে। এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড’ প্রযুক্তি।
বৃহস্পতিবার বিকালে পৃথক প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার ও এবিপি আনন্দ জানায়, ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা দুই সপ্তাহ ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এর জেরে শিয়ালকোট-ছাম্ব সেক্টরের সংলগ্ন গ্রামগুলো খালি করে দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে আশপাশের সেনা চৌকি, পুলিশ স্টেশন ও হাসপাতালগুলোতেও। পহেলগাঁও, আখনুর ও পুঞ্চ সেক্টরে বাড়তি সতর্কাবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার রাতে চালানো হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’। মাত্র ২৫ মিনিটের এই অভিযানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারত। এতে পাকিস্তান আরও মরিয়া হয়ে হামলার চেষ্টা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে নয়াদিল্লি। সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখে ভারতের আকাশসীমায় সন্দেহজনক কিছু দেখলেই তা প্রতিহত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। প্রয়োজন হলে গুলি চালানোর স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে দেশটির বিমানবাহিনীকে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। লাহৌর, ইসলামাবাদসহ একাধিক জায়গা থেকে এমন ঘটনা সামনে আসে। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এরপর পাকিস্তানের সামরিক জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ভারতের ২৫টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে তারা। যেগুলো ছিল ইসরায়েলি-নির্মিত ‘হারোপ’ ড্রোন।
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়, ৬-৭ মে ভারতীয় বাহিনীর 'কাপুরুষোচিত হামলা'য় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিরোধে ভারতের পাঁচটি আধুনিক যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও একাধিক সামরিক পোস্ট ধ্বংস হয়ে যায়। এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত 'আতঙ্কিত হয়ে' হারোপ ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায় বলে দাবি করে আইএসপিআর। তবে পাকিস্তান সেগুলো প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। ড্রোনগুলো গুলি করে (হার্ড-কিল) ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে (সফট-কিল) নামানো হয়।
আরআর/এসএন