আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) সকালেও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকশ নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা নিয়মিত স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে আওয়াজ তুলছেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, দাবি মেনে না নিলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবির মতো আরেকটি এক দফার ডাক দেয়া হবে।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহের ডাকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে যমুনার সামনে আসেন নেতাকর্মীরা। এতে যোগ দেন ইনকিলাব মঞ্চ ও ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ অবস্থান করবো।’
রাতেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে নয় মাস পরও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশবাসীকে আরেকবার রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ বলেন, দাবি আদায়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই বিপ্লব মঞ্চ।
এদিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আরএ/টিএ