আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দুই ঘণ্টার অবরোধ শেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সরে যান ছাত্র-জনতা। পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শুক্রবার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। তারা সড়কে বাঁশ, লাঠি ফেলে এবং কয়েকটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে দাঁড় করিয়ে ঢাকামুখী লেনের যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
এদিন অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ব্যতীত সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সাইনবোর্ড থেকে মদনপুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আজ আমরা মহাসড়ক ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি মানা না হলে এই মহাসড়ক আমরা অচল করে দেবো। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা ছাড়া আমরা রাজপথ ছাড়বো না। গতকাল রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবনের সামনে ও শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে। আওয়ামী লীগ দেশ ও জাতির শত্রু। তাই তাদের নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি।
বিক্ষোভে নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. জাবেদ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহফুজ আলম। সদস্য সচিব মো. হৃদয় ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টি আই মোহাম্মদ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ঢাকামুখী লেনে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করার ফলে মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। তারা ১১টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে দিলেও গাড়ির প্রচুর চাপ রয়েছে। আমাদের হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা ব্লকেড দিয়ে রেখেছিলেন। এখন তারা সড়ক থেকে সরে গেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরএ/এসএন