অনেক দিন পরে আবারও ছোট পর্দায় দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী তৃণা সাহাকে। তাঁর নতুন ধারাবাহিকের নাম ‘পরশুরাম’। মাত্র কয়েক দিনে টিআরপি তালিকায় প্রথম দিকে স্থান করে নিয়েছে মেগা।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে টিআরপি তালিকার প্রথম পাঁচে উঠে এসেছে তৃণা সাহা এবং ইন্দ্রজিৎ বসু অভিনীত ধারাবাবাহিক ‘পরশুরাম’। প্রথম দিন থেকেই যে কাহিনির পরতে পরতে রোমাঞ্চ। ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে পরশুরাম। কিন্তু কী যে তার আসল পেশা— তা কারও জানা নেই। তার স্ত্রীয়ের চরিত্রেই দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী তৃণা সাহাকে। অ্যাকশন থেকে রোম্যান্স— সব স্বাদই রয়েছে এই কাহিনিতে। কিন্তু ধারাবাহিকের সাফল্যের কোনও কৃতিত্বই নিতে রাজি নন নায়িকা তৃণা। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে তিনি অভিনয় করলেও তাঁর জন্য টিআরপি নম্বরে হেরফের হত পারে এটা মানতে নারাজ অভিনেত্রী।
তৃণা বললেন, “সত্যিই আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। সবটাই গল্প এবং ধারাবাহিকের ভাগ্য। যদি কৃতিত্ব আমার হত তা হলে আমার সব ধারাবাহিকই হিট হত।” এর আগে একগুচ্ছ ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তৃণার প্রথম ধারাবাহিক ‘খোকাবাবু’। প্রথম মেগাতেই সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। তার পর ‘খড়কুটো’, ‘কলের বউ’, ‘বালিঝড়’—অনেকগুলো ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার মধ্যে কিছু হিট। আবার কিছু ধারাবাহিক শেষ হয়ে গিয়েছিল খুব অল্প দিনের মধ্যেই। তৃণার দাবি, সবই যদি তাঁর উপরেই নির্ভর করত তা হলে কোনও মেগাই ব্যর্থ হত না।
অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের কাঁধে যে দায়িত্বটা রয়েছে সেটা অবশ্যই ভাল করে পালন করতে হবে। কিন্তু মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, এ আমার একার কৃতিত্ব নয়। আর তা ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে ৯ বছর কাটিয়ে ফেলার পর বুঝতে পারলাম নিজেদের কাজটা মন দিয়ে না করলে মুশকিল। আমার হাতে একগুচ্ছ কাজ থাকে না, গুটিকয়েক সুযোগ আসে। তার মধ্যেই বেছে নিতে হয়। তাই যেটা পাচ্ছি সেটা মন দিয়ে করতে হবে আমায়।” ১৪ ঘণ্টা শুটিং করে আর নিজের জন্য কোনও সময় থাকে না তাঁরা। স্বামী নীল ভট্টাচার্যও শহরের বাইরে। তিনিও মুম্বইয়ে কাজের চেষ্টায়।
এফপি/এস এন