বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে শনিবার (১০ মে) সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত আসলে বিএনপির পূর্ববর্তী বক্তব্যেরই প্রতিফলন। তিনি বলেন, সরকার যদি বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আলোচনা করত, তাহলে এই সমস্যার সমাধান আরও আগেই সম্ভব হতো। এখন তো নয় মাস পার হয়ে গেছে। আজ যেটা হয়েছে, সেটাই তো বিএনপির চাওয়া ছিল। আলোচনা করে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং সেই বিচারেই সমাধান আসতে হবে।
রোববার (১১ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড়বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মান্দারী ইউনিয়নের মিয়াপুর ভূঁইয়া বাড়ি নূরানী মাদরাসায় ওয়ার্ডভিত্তিক নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দ্রুত হলে গুম-খুনের একটি পরিণতি দেখা যাবে, গণহত্যার বিচার হবে, রায় ঘোষণা হবে। যারা গুম-খুন ও গণহত্যায় জড়িত, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক—এটাই আমাদের দাবি। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার আগে করতে হবে। যদি মানুষকে বারবার শাহবাগে, যমুনায় মিছিল করতে হয়, গাড়ি আটকাতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কষ্ট পায়। জনগণ তা চায় না, বরং তারা চায় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান। টেবিলে বসে আলোচনা জরুরি ছিল। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আলোচনা করলে নিষ্পত্তি আরও আগে হতো।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন দেশ গড়তে চায়। আমরা যে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, সেখানকার মধ্যে যদি সামান্য মতপার্থক্যও দেখা দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ দুঃখ পাবে। আমরা চাই না মানুষ কষ্ট পাক। আমরা ১৭ বছর ধরে বিচার চেয়ে আসছি—গণহত্যা, গুম-খুন, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের বিচার। আমাদের আন্দোলনের ফলাফল হলো এই অন্তর্বর্তী সরকার, যারা এখন ৯ মাস দায়িত্বে আছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো বিচার হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া এত ধীরগতির কেন? কারণটা কী? যদি শেখ হাসিনার বিচার দৃশ্যমান এবং দ্রুত হয়, তাহলে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হবে ও আশ্বস্ত হবে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেলাল হোসেন এবং সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।
এসএস/টিএ