এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরাইলি-আমেরিকান জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

রোববার (১১ মে) এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আলোচনা পুনরায় চালু করতে এবং গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণের কাছে সাহায্য ও ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছানোর অংশ হিসেবে মার্কিন ইসরাইলি সৈনিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেয়া হবে।’

গত ৭০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানিসহ সমস্ত সাহায্য প্রবেশে বন্ধ করে রেখেছে ইসরাইল।

হামাসের বিবৃতিতে ২১ বছর বয়সি আলেকজান্ডারকে কখন মুক্তি দেয়া হবে তা উল্লেখ করা হয়নি, তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ইসরাইল সফর করবেন।

জানা গেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি কাতারে মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে। কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশকে সহজতর করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।

তেল আবিবে জন্মগ্রহণকারী কিন্তু নিউ জার্সিতে বেড়ে ওঠা আলেকজান্ডার গাজার সীমান্তে একটি অভিজাত পদাতিক ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস তাকে ধরে নিয়ে যায়।

ইসরাইলের সঙ্গে আর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মঙ্গলবার (৬ মে) গোষ্ঠীটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা এমনটা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের ‘ক্ষুধার যুদ্ধ’ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফিলিস্তিনের গাজায় আরও আগ্রাসী পদক্ষেপের দিকে যাচ্ছে ইসরাইল। হাজারো সংরক্ষিত সেনা তলব করে শুরু হয়েছে বড় অভিযানের প্রস্তুতি। এ নিয়ে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

জিম্মিদের মুক্তির অজুহাতে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর নারকীয় তাণ্ডব চালানোর পর এবার ভিন্ন কথা বলছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি নয়, যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হামাসকে পরাজিত করা।

আরএম/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল ৩০ জনের, নিখোঁজ ২১ Nov 21, 2025
img
চিটিং ইজ চিটিং, ইমোশনাল হোক বা ফিজিক্যাল-সবটাই চিটিং Nov 21, 2025
img
মিস ইউনিভার্স ফাতিমার পুরস্কার জানলে চমকে যাবেন! Nov 21, 2025
img
বিশাল সেট, ইন্টেন্স ট্রেনিং-নাগা চৈতন্যর ঝলক! Nov 21, 2025
img
মেট্রোরেলের লাইনে পাওয়া গেল অবিস্ফোরিত দুই ককটেল Nov 21, 2025
img
মেয়েদের জীবনের থেকে একটা ওড়না বেশি গুরুত্বপূর্ণ: চমক Nov 21, 2025
img
অপ্রত্যাশিত স্নেহ আর নতুন সম্পর্কের গল্পে নতুন সিরিজ ‘সিঙ্গেল পাপা’ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে শাহজালাল বিমানবন্দরের ড্রাইভওয়ের সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত Nov 21, 2025
img
হতাহত বেশি ‘প্যানিকের কারণে’ : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা Nov 21, 2025
img
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ Nov 21, 2025
img
আজকের ভূমিকম্পের পর ভাবার কোনো কারণ নেই, আমরা অনেক নিরাপদ আছি: ডা. জাহিদ Nov 21, 2025
মুশফিকের সততম টেস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেটকে গর্বিত করেছে : শামসুর রহমান শুভ Nov 21, 2025
ভূমিকম্পে ভবন ধস যা বললেন স্থানীয়রা Nov 21, 2025
img
সম্পর্কের বাস্তবতা নিয়ে অভিনেত্রী ইশার মন্তব্য Nov 21, 2025
img
গুয়াহাটি টেস্টে ভারত দলের অধিনায়ক ঋশাভ পান্ত Nov 21, 2025
img
নিলামকে গুরুত্ব দিচ্ছে না পাঞ্জাব, দল নিয়েই সন্তুষ্ট কর্তৃপক্ষ Nov 21, 2025
img
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বক্তব্যটি আইওয়াশ : মঞ্জুরুল আলম পান্না Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পের ঘটনায় জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের Nov 21, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ Nov 21, 2025
img
সামনে আরো বড় ভূমিকম্প হতে পারে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা Nov 21, 2025