এক পশুতে কোরবানি ও আকিকা করা যাবে? জানুন ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি

ইসলাম একজন মুসলমানের ওপর যেসব ইবাদতের বিধান দিয়েছে তার কিছু শারীরিক ইবাদত, কিছু আর্থিক, কিছু শারীরিক এবং আর্থিক দুটোর সম্বন্নয়ে। এর মধ্যে কোরবানি হলো আর্থিক ইবাদত।

সামর্থ্যবানদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। জাকাত ও কোরবানির নিসাব একই। ফলে যাদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘কিন্তু মনে রেখো! কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা। এই লক্ষ্যেই কোরবানির পশুগুলোকে তোমাদের অধীন করে দেওয়া হয়েছে। অতএব আল্লাহ তোমাদের সৎপথ প্রদর্শনের মাধ্যমে যে কল্যাণ দিয়েছেন, সেজন্যে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো। হে নবি! আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দিন যে, আল্লাহ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৭-৩৮)

প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী— যে কোরবানির দিনগুলোতে সাড়ে সাত ভরি সোনা, সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা ওই পরিমাণ রুপার সমমূল্যের নগদ অর্থ অথবা বর্তমানে বসবাস ও খাবারের প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজনাতিরিক্ত বাড়ি, ব্যাবসায়িক পণ্য ও প্রয়োজনাতিরিক্ত অন্য আসবাবপত্রের মালিক হবে, তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।

জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ কোরবানি করা যায়। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই (বা প্রথম দিনে) কোরবানি করা উত্তম।

কোরবানির পশুতে কেউ নিজের সন্তানের আকিকার অংশ দিতে চাইলে তাদের জন্য তা জায়েজ হবে। এভাবে কোরবানির পশুর অংশে সন্তানের আকিকা দেওয়া যায়। কোরবানির গরু, মহিষ ও উটে আকিকার নিয়তে শরিক হওয়া যায়। এতে কোরবানি ও আকিকা দুইটিই হবে।

ছাগল বকরিতে আকিকার অংশ দেওয়া যাবে না। শুধু কোরবানির বড় পশুত অর্থাৎ যেসব পশুতে সাত ভাগ রাখা যায়, সেগুলোতে কোরবানির অংশের সঙ্গে আকিকার অংশ রাখা যাবে। সেই হিসেবে কোন এক বা একাধিক ভাগ আকীকার নিয়তে রাখা যাবে। ছেলের জন্য দুই অংশ আর মেয়ের জন্য এক অংশ দিতে হবে। (ইলাউস সুনান: ১৭/১২৬)

আরএম/এসএন 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
মালাইকার জীবনে নতুন প্রেম! Oct 30, 2025
img
জেল জীবনের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেন রবিনহো Oct 30, 2025
img
‘না’ ভোটের প্রচারকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে: জামায়াত Oct 30, 2025
img
চট্টগ্রামসহ দেশের কিছু অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা Oct 30, 2025
img
পে কমিশনের কাছে নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব, সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার Oct 30, 2025
img
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সুপারিশ একপেশে : মির্জা ফখরুল Oct 30, 2025
img
সমাজের ভয়ে নয়, নিজের সুখে বাঁচতে চান ইশা সাহা Oct 30, 2025
img

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করলো ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি Oct 30, 2025
img
তরুণ সমাজে ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে মাদক: বাণিজ্য উপদেষ্টা Oct 30, 2025
img
গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হলে দায় প্রধান উপদেষ্টার: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Oct 30, 2025
img
লেডি সুপারস্টার হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী Oct 30, 2025
img
বোল্ড শুধু পোশাকে নয়, ভাবনাতেও হয় : পাওলি দাম Oct 30, 2025
img
সীমান্তে অভিযানের সময় পাকিস্তানের ৬ সেনা নিহত Oct 30, 2025
img
হাতকড়াসহ পালানো আ.লীগ নেতা রাজু গ্রেপ্তার Oct 30, 2025
img
সাপ জড়িয়ে ছবি পোস্ট প্রিয়াঙ্কার, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল Oct 30, 2025
img
জনগণ সংস্কার বোঝে না, এটা বাস্তবসম্মত কথা নয়: তাসনিম জারা Oct 30, 2025
img
ভারতকে কোণঠাসা করে পাকিস্তানের সুরেই কথা বলছেন ট্রাম্প Oct 30, 2025
img
এনসিপি আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দল হয়ে উঠছে : রাশেদ খান Oct 30, 2025
img
নাচের মঞ্চে আগুন, তবু থামলেন না কৌশানি Oct 30, 2025
img
ন’টা-পাঁচটার চাকরির মতোই আমাদের জীবন : সৌরসেনী মৈত্র Oct 30, 2025