ভারত ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলিউডের বহু তারকাই নানা মন্তব্য করেছেন। এ বার অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি তাঁর বিশেষ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন। সেলিনার বাবা প্রয়াত কর্নেল বিক্রম জেটলি। দাদামশাই ছিলেন কর্নেল এরিক ফ্যান্সিস।
সাক্ষাৎকারে সেলিনা বলেন, “উধমপুরের আর্মি পাবলিক স্কুলে আমার শৈশবের বহু স্মৃতি রয়েছে। শুনেছি ওই স্কুলেও হামলা হয়েছিল। আমার চোখে জল এসে যায় এই খবর পেয়ে। এই যন্ত্রণা খুব ব্যক্তিগত।”
সাংবাদিক সম্মেলনে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের হামলার শিকার হয়েছে শ্রীনগর, উধমপুর, অবন্তীপোরার বেশ কিছু স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এই ঘটনায় যে সেনারা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা সেলিনাকে তাঁর বাবার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। অভিনেত্রী বলেছেন, “মাত্র ২১ বছর বয়সে ১৯৭১-এর যুদ্ধে বাবা লড়েছিলেন। ভাদুরিয়াতে বাবার গুলি লেগেছিল। গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন বাবা। সেই ক্ষত সারা জীবন বাবার সঙ্গে থেকে গিয়েছিল। তার পরেও দেশের সেবা করে গিয়েছেন। এ জন্য নিজেও গর্ববোধ করতেন তিনি। সাহসিকতার জন্য বাবা দু’টি সেনাপদক পেয়েছিলেন।”
বাবা ও দাদুর তত্ত্বাবধানে বড় হয়েছেন সেলিনা। তিনি বলেছেন, “আমি ৮০-র দশকে জন্মেছি। প্রথম সারিতে থাকা সেনার পরিবারে জন্মানোয় আমি জানতাম, যে কোনও বিদায়ই শেষ বিদায় হতে পারে।”
যুদ্ধের জন্য সেলিনার বাবা শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, “৪১ বছর একটা কানের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বাবা। কিন্তু তা-ও দেশের প্রতি ভক্তি কখনও কমেনি। কঠিন সময়েও কী ভাবে ধৈর্য রাখতে হয়ে ও শক্তি সঞ্চার করতে হয় তা সেনা পরিবারের মানুষ হিসেবে আমাদের শেখানো হয়েছে।”
এফপি/টিএ