গত কয়েক মাস ধরেই সচিন টেন্ডুলকারের কন্যা সারা টেন্ডুলকারকে ঘিরে বলিউডে পা রাখার জল্পনা তুঙ্গে। গ্ল্যামার দুনিয়ার দরজা খোলার অপেক্ষায় তিনি—এমনটাই ধরে নিচ্ছিলেন অনেকে। কিন্তু অবশেষে এই সমস্ত গুজবে নিজেই স্পষ্ট জবাব দিলেন সারা, এবং সেটাও একেবারে খোলামেলা ও সাহসিকতার সঙ্গে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, অভিনয় তাঁর আগ্রহের বিষয় নয়, বরং ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোতেই তাঁর ভয় লাগে। সিনেমার প্রস্তাব এলেও তিনি মনে করেন, নিজেকে সেই জগতে মানিয়ে নেওয়ার মতো প্রস্তুত বা স্বচ্ছন্দ নন।
আজকের দিনে যেখানে অধিকাংশ স্টার-সন্তান রূপালী পর্দায় জায়গা করে নিতে মরিয়া, সেখানে সারার এমন খোলামেলা প্রত্যাখ্যান নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। তার চেয়েও বড় কথা, তিনি ঠিক করে নিয়েছেন নিজের আলাদা রাস্তা। পুরো সময় দিচ্ছেন টেন্ডুলকার ফাউন্ডেশনের সমাজসেবামূলক প্রকল্পে, যেখানে কাজ করছেন বাস্তব জীবনের মানুষের সঙ্গে। পাশাপাশি জড়িত রয়েছেন ফ্যাশন, সৌন্দর্য ও জীবনধারাভিত্তিক কিছু নির্বাচিত প্রকল্পে, যেগুলি তাঁর নিজস্ব ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মেলে। গ্ল্যামারের দাপট নয়, বরং অর্থপূর্ণ কাজেই তাঁর আগ্রহ—এমনটাই তাঁর বার্তা।
সোশ্যাল মাধ্যমে নিজেকে যতটা দেখা যায়, তার চেয়েও অনেক বেশি ভাবনাচিন্তার মানুষ সারা। ইনস্টাগ্রামের নিখুঁত সৌন্দর্য নিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় নিজেও ভাবেন, ‘ওর ত্বক তো নিখুঁত’, কিন্তু পরে মনে পড়ে যায়—ইনস্টাগ্রাম কখনওই পুরোপুরি বাস্তব নয়। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে তিনি মানেন, প্রত্যেকের জন্য কাজ করে এমন পদ্ধতিই সেরা। কোনও এক আদর্শ মানদণ্ডের পেছনে ছোটা নয়, বরং নিজেকে বোঝাটাই আসল।
আলো, ক্যামেরা আর খ্যাতির জগতে না গিয়েও কীভাবে নিজেকে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করা যায়, তা নিঃশব্দে দেখিয়ে দিচ্ছেন সারা টেন্ডুলকার। আলোচনায় আসার জন্য শুধু রূপালী পর্দার দরকার হয় না—এই প্রজন্মের তারকাসন্তানদের মধ্যে সারা এক ব্যতিক্রমী নাম, যিনি ক্যামেরার পেছনেও জ্বলজ্বল করছেন নিজের মতো করে।
এফপি