‘কেজিএফ’, দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সফল সিনেমাগুলোর একটি। এর নায়ক কন্নড় অভিনেতা ইয়াশ। এই একটি সিনেমায় অভিনয় করার জন্য পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তিনি অন্য কোনো কাজ হাতে নেননি।
এ দীর্ঘ সময় তৈরি করেছেন নিজেকে। আর সেটার ফলাফল পেয়েছেন হাতেনাতে। ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ওয়ান’ মুক্তির পর এর ব্যবসায়িক সাফল্য ইয়াশকে পৌঁছে দিয়েছে খ্যাতির চূড়ায়। সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’ ছিল আরও একধাপ এগিয়ে। তাই ইয়াশকে এখন ‘কেজিএফ’ তারকা হিসাবেই চেনেন মানুষ।
এ সিনেমার ব্যাপক সাফল্যে অন্য নির্মাতারাও তাদের নতুন সিনেমার জন্য ইয়াশের দ্বারে ঘুরছেন বেশ আগে থেকেই। পারিশ্রমিক দিতে চেয়েছে অনেক বেশি। কিন্তু অভিনেতার সাফ জবাব, ‘কাজ করব একটাই, আর সেটা হবে মাস্টারপিস’।
এ কারণে অনেক নির্মাতাকেই খালি হাতে ফিরতে হয় তার দুয়ার থেকে। তবে ঐতিহাসিক গল্প নিয়ে নির্মিতব্য ‘রামায়ণ’ সিনেমার নির্মাতা নিতেশ তিওয়ারি হাল ছাড়েননি। কেজিএফ’র চেয়ে ১৩ গুণ বেশি পারিশ্রমিক অফার করেছিলেন তাকে। কেজিএফ : চ্যাপ্টার ওয়ান-এ ইয়াশ পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ১৫ কোটি রুপি।
এ পরিমাণ পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেওয়ার পরও ‘রামায়ণ’-এ অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না ইয়াশ। কারণ চরিত্রটি ছিল ভিলেন, রাবণের। হঠাৎ করে নিজের ইমেজ পালটাবেন, এ সিদ্ধান্ত তো আর সহজেই নেওয়া যায় না। তাই ভাবতে সময় নিয়েছেন অনেক। সেই সময়ের জন্য অপেক্ষাও করেছেন নিতেশ। কারণ, নিতেশ চরিত্রে তার ইয়াশকেই লাগবে।
এসএম/টিএ