ভদকার ফোয়ারায় কাবু বিদেশি অভিনেতারা, কিন্তু অটল রইলেন ভাইজান!

বলিউডের ভাইজান তিনি— এক বার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেললে আর কারও কথা শোনেন না, নিজেরও না। পর্দার সংলাপ যে কখন পর্দার বাইরে সালমান খানের জীবনের শিরোনাম হয়ে গিয়েছে, হয়তো জানেন না অভিনেতা নিজেও।

সালমান এবং তাঁর পানাসক্তি নিয়ে নানা কানাঘুষো শোনা যায় বলিপাড়ায়। এ বার তেমনই এক রোমহর্ষক কাহিনি শোনালেন পরিচালকযুগল রাধিকা রাও, বিনয় সপ্রু। সেটা ২০০৫ সাল, শুটিং চলছে ‘লাকি: নো টাইম ফর লভ’ ছবির। সলমনের পাশাপাশি ছবিতে ছিলেন একাধিক রাশিয়ান অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাধিকারা জানান, রাশিয়ানদের নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সালমান । আর তার পরই ঘটে বিপত্তি।

রাধিকা জানান, রাশিয়ানরা নিজেদের মদ্যপানের ক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট গর্ব বোধ করেন। শুটিংয়ের সময়ও তাঁরা এ বিষয়ে কৃতিত্ব জাহির করতেন বার বার। সেই দর্পই একেবারে চূর্ণ করেছিলেন সালমান খান। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এক বিশেষ জমায়েতের আয়োজন করেন নিজের বাড়িতে। সকলেই জানেন, সলমনের পার্টিতে মদের ফোয়ারা ছোটে। ছবির পরিচালকেরা রাশিয়ান অভিনেতাদের নিষেধ করেছিলেন এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করতে। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত করেননি।

রাধিকা বলেন, “পর দিন ওঁরা যখন শুটিংয়ে এলেন, কেউ মাথা তুলতে পারছেন না। কেউ এলেন অনেক দেরি করে। এমনিতেই রাশিয়ানরা খুব পেশাদার। তাঁরা সে দিন বলেছিলেন, ভদকার প্রবাহ শেষই হয়নি সলমনের বাড়িতে। তাঁরাও নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে পান করে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আর দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা ছিল না। অথচ, তাঁদের পাশেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মদ্যপান করেছেন সালমান । কিন্তু বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি তাঁর উপর।”

পরিচালকেরা জানিয়েছেন, সে রাতে রাশিয়ান অভিনেতারা বাড়ি ফিরেছিলেন প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে। কিন্তু সলমনের পা টলেনি। পর দিন শুটিংয়েও তিনি এসেছিলেন একেবারে সময়মতো।

অভিনেতার জেদ নিয়ে নানা কাহিনি রয়েছে। অতিরিক্ত পানাসক্তি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাও দীর্ঘ দিন ধরেই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর এ বিষয়েও তিনি যথেষ্ট দৃঢ়চেতা। সলমনের বাবা সেলিম খান এক বার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, খুব মদ্যপানের ইচ্ছা হলে, এক গ্লাস মদ নিজের সামনে নিয়ে বসেন সালমান। তাকিয়ে থাকেন তার দিকে। কিন্তু ছুঁয়ে দেখেন না। ধীরে ধীরে বাসনা কমে আসে। আত্মস্থ হন সালমান ।

এফপি/টিএ

Share this news on: