মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট বিশ্বজুড়ে সব স্তর, বিভাগ ও অঞ্চল মিলিয়ে তাদের কর্মীসংখ্যার তিন শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র জানান, “বাজার পরিস্থিতির ধারাবাহিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে টেকসই ও সফলভাবে এগিয়ে নিতে আমরা প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক রদবদল করছি।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গেল তিন মাসে মাইক্রোসফটের মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২৫.৮ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল শেষে দেওয়া পূর্বাভাসে ভবিষ্যতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।
জুন মাসের শেষে বিশ্বজুড়ে মাইক্রোসফটের কর্মী সংখ্যা ছিল দুই লাখ ২৮ হাজার। যার মানে, বর্তমানে এই সিদ্ধান্ত কোম্পানিটির হাজার হাজার কর্মীর ওপর প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে সিএনবিসি।
২০২৩ সালে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় ছাঁটাই হতে চলেছে এটি। জানুয়ারিতে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ছোট আকারে কিছু কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি।
তবে, এ নতুন কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি পারফরম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বলেছেন কোম্পানির একজন মুখপাত্র।
তিনি বলেছেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের একটি কারণ হচ্ছে কোম্পানির ব্যবস্থাপনার স্তর কমানো।
এর আগে, জানুয়ারিতে অ্যামাজনও বলেছিল, ‘অপ্রয়োজনীয় স্তর’ দেখে কিছু কর্মী ছাঁটাই করবে তারা।
গত সপ্তাহে, সাইবারসিকিউরিটি সফটওয়্যার পরিষেবা কোম্পানি ‘ক্রাউডস্ট্রাইক’ ঘোষণা করেছে, মোট কর্মীসংখ্যার ৫ শতাংশ ছাঁটাই করবে তারা।
জানুয়ারিতে মাইক্রোসফটের সিইও সাত্যিয়া নাদেলা বিশ্লেষকদের বলেছিলেন, নিজেদের পণ্য বিক্রয় পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনবে তারা। কারণ, ‘অ্যাজিউর’ ক্লাউডে আয় প্রত্যাশা অনুসারে বাড়েনি। এর পেছনে কারণ হিসাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
অন্যদিকে, কোম্পানিটির এআই ক্লাউডের বৃদ্ধি আরও ভালো হয়েছে।
সোমবার মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম ৪৪৯.২৬ ডলারে লেনদেন বন্ধ হয়েছে, যা এই বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম। গত জুলাই মাসে রেকর্ড ৪৬৭.৫৬ ডলারে লেনদেন বন্ধ করেছিল কোম্পানিটি।
এসএস