খামেনির এমন ইরান কেউ দেখেনি আগে!

“প্রয়োজনে একসাথে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে ইরান”—এমন কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (IRGC) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামী। সাম্প্রতিক এক সামরিক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, তেহরান কথায় নয়, প্রয়োজনে বাস্তবেই এই শক্তি প্রদর্শনে প্রস্তুত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) তেহরানে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জেনারেল সালামী বলেন, “গত এক বছরে ইরানের সামরিক সক্ষমতা ১০ গুণ বেড়েছে। জাতীয় সম্মান রক্ষায় কোনো ধরনের আপোষ নেই। যেখানে হুথিদের একটি ক্ষেপণাস্ত্রই ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল, তারা কীভাবে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবিলা করবে?”

এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। একই সময়ে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব থেকে ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, “তাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে—শান্তি, নাকি পারমাণবিক কর্মসূচি। কর্মসূচি বন্ধ না করলে আমরা ‘ম্যাসিভ প্রেসার’ প্রয়োগ করব। রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে ইরান কখনও পারমাণবিক শক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে না পারে।”

ট্রাম্পের এসব মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মার্কিন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন মিয়ারশেইমার। পার্স টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরানকে নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং একধরনের অদূরদর্শিতা। বাস্তবতা হলো, ইরান আগের সেই অবস্থানে নেই। এখন আগের মতো হুমকি আর কাজ করবে না।”

মিয়ারশেইমার আরও বলেন, “আমেরিকার সামনে এখন দুই পথ—চুক্তি অথবা যুদ্ধ। ট্রাম্প নিজেও যুদ্ধ চান না। আর যদি তা চায়ও, তাহলে তা হবে মারাত্মক ভুল। ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্ব অর্থনীতি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।”


এসএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১৫ কেজির কোরাল মাছ বিক্রি ১৮ হাজারে Sep 15, 2025
img
শ্রীলঙ্কার সামনে হংকংয়ের ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জ Sep 15, 2025
img
নিকুঞ্জে নাগরিক জাগরণ: হারানো শান্তি ফিরে পাওয়ার গল্প Sep 15, 2025
img
সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ, আত্মবিশ্বাসী কোচ Sep 15, 2025
img
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের প্রশংসায় জনাথন ট্রট Sep 15, 2025
img
অসুস্থ অমিতাভকে ২০০ জন ৬০ ব্যাগ রক্ত দিয়েছিলেন Sep 15, 2025
img
অতিরিক্ত ৬ বছরের কারাভোগ শেষে ভারতে ফিরলেন রামাতা Sep 15, 2025
এশিয়া কাপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, সুপার ফোর নিশ্চিত কার? Sep 15, 2025
img
আলোচনা ভেস্তে দিতেই দোহায় হামলা : কাতারি আমির Sep 15, 2025
img
তিস্তা প্রকল্পে আগ্রহী চীন, পাঠাচ্ছে কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল Sep 15, 2025
img
ভাঙ্গায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, ক্ষতিগ্রস্ত ৮ গাড়ি ও ১৯ মোটরসাইকেল Sep 15, 2025
img

কাতারে হামলা

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী Sep 15, 2025
img
দেশবাসী আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন : জামায়াত সেক্রেটারি Sep 15, 2025
img
লেভেল ফোর কোচিং শেষ করলেন মঞ্জু Sep 15, 2025
img
ওমানকে হারিয়ে প্রথম জয় আমিরাতের Sep 15, 2025
img
বিসিবি নির্বাচনে খেলোয়াড় প্রতিনিধি চায় কোয়াব! Sep 15, 2025
img
নয় ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা শেষে ইডির দপ্তর থেকে বের হলেন মিমি Sep 15, 2025
img
আমরা ১৭ বছর ক্ষমতায় নাই, তবুও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি: শামা ওবায়েদ Sep 15, 2025
img
আদালতকেন্দ্রিক ড্রামায় শাহ্‌ বানু চরিত্রে ইয়ামি গৌতম Sep 15, 2025
img
মাঝআকাশে যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী Sep 15, 2025