সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি ইটভাটার আগুনে শতাধিক কৃষকের প্রায় দুইশ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের স্বরূপপুর, আমিজপুর ও জগনাথপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভাটার মালিক হাজি মনির শাস্তির দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদে উপস্থিত হন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিত অভিযোগ দেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দিবাগত রাতে এজিএন ইটভাটা দ্রুত ইট পোড়াতে ‘ফাজার’ মুখ খুলে দেয়। এতে ছড়িয়ে পড়া ছাইয়ের আগুনে শতাধিক বিঘার ধান ও গবাদিপশুর জন্য রাখা ২৬ বিঘা ঘাসও পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মনোয়ারা বেগম বলেন, বৃদ্ধ বয়সে নিজের ৫০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করছিলাম, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্বামী অসুস্থ, সন্তান কেউ পাশে নেই। এখন খেয়ে বাঁচবো কী করে?
কৃষক হাসানুর প্রামাণিক, ফিরোজা বেগম, কালু প্রামানিক, আবদুল হানিফ সরকারসহ অনেকেই জানান, গত বছরও একই ভাটার আগুনে ধান পুড়েছিল। এবার ইচ্ছাকৃতভাবে শতাধিক কৃষকের জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক বলেন, সরেজমিনে গিয়ে ১৯৩ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এদিকে ভাটার মালিক হাজি মনি ও ম্যানেজার পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএম/টিএ