রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘বাস্তব সহযোগিতা’ বাড়াতে প্রস্তুত চীন

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘ব্যবহারিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের’ ঘোষণা দিয়েছে চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সাম্প্রতিক মস্কো সফরের পর এ ঘোষণা আসে। গত সপ্তাহে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মস্কোয় গিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে তাস নিউজ ও আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের ৮০তম বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন শি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়কে স্মরণ করতে প্রতি বছর ৯ মে রাশিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।
পুতিনের সাথে দু’ দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক’সহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর চীনা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।

গত কয়েক বছর ধরে চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। বিশেষকরে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

তবে ইউক্রেনের মিত্ররা অভিযোগ করছে, চীন রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এ ধরনের সহযোগিতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

কিন্তু ইউক্রেনের মিত্রদের এমন দাবি বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। যুদ্ধ বন্ধে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে চীন। এই ঘোষণা আসার পরপরই পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বৈশ্বিক শক্তি ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

চীন ও রাশিয়া ন্যাটো ও পশ্চিমা প্রভাবের বিরুদ্ধে তাদের জোট শক্তিশালী করতে চাইছে। কেননা, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর এক বছর পূর্তিতে চীন একটি শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করলেও, পশ্চিমা নেতারা এটিকে রাশিয়ার পক্ষে দেখেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে, চীন-তাইওয়ান ইস্যুও বিবেচনাধীন। কারণ, ইতোমধ্যে তাইওয়ান নিজেদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এছাড়াও, দেশটির সকল সামরিক সরঞ্জামের জন্য পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন সময়ে রাশিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক গভীর হলে, তা ব্যাপক চিন্তায় ফেলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

এমআর


Share this news on:

সর্বশেষ

img
রোমে পেট্রোল স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত ৪৫ Jul 05, 2025
img
চট্টগ্রামে তাজিয়া মিছিলে আতশবাজি-অস্ত্র নিষিদ্ধ করল সিএমপি Jul 05, 2025
img
উড্ডয়নের আগেই অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়লেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট Jul 05, 2025
img
আমরা যেনতেন নির্বাচন চাই না : জামায়াত আমির Jul 05, 2025
img
এ কে আজাদের বাসভবনে হামলা, ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা Jul 05, 2025
img
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা Jul 05, 2025
img
৩৬ জুলাই শহীদ হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম, সুযোগ এলে পিছপা হবো না: আসিফ Jul 05, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এক দিনে নিহত আরও ১৩৮ Jul 05, 2025
img
দেশের ৪ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস Jul 05, 2025
img
আজ মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ, হতে পারে বৃষ্টি Jul 05, 2025
img
মহিলা দল নেত্রীকে মারধরের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কৃত Jul 05, 2025
img
একদিন পরই আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ Jul 05, 2025
img
শুটিংয়ে দেরি করায় গোবিন্দকে চড় মারলেন অমরিশ পুরি! Jul 05, 2025
img
মুন্সিগঞ্জে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের Jul 05, 2025
img
৫ দিনের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি না করলে ৭০ শতাংশ শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Jul 05, 2025
img
রাজধানীর ডেমরা থেকে ফেনীর ছাত্রলীগ নেতা রবিন গ্রেফতার Jul 05, 2025
img
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেফতার দাবি Jul 05, 2025
রংপুরে জামায়াতের জনসভা মঞ্চে শহীদ আবু সাঈদের বাবা-ভাই Jul 05, 2025
একক মাতৃত্ব ও কো-প্যারেন্টিং নিয়ে যা বললেন মিথিলা Jul 05, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Jul 05, 2025