যুদ্ধবিরতি না হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে ঝুঁকতো ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প

পহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা এক পর্যায়ে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকেও ঝুঁকে পড়েছিল— এমনটাই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার মধ্যস্থতার ফলেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে, যা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত।

ট্রাম্প এটিকে তার কূটনৈতিক দক্ষতার বড় সাফল্য হিসেবেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছিল যে, দু'পক্ষই এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যেখানে পরবর্তী পদক্ষেপ হতে পারতো পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার।"

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও জানান, এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ছিল অত্যন্ত জরুরি। তারই উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি হয়।

এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ভারত এখন মার্কিন পণ্যের ওপর শতভাগ শুল্ক কমাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুধু ভারতই নয়, অন্যান্য অনেক দেশও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করতে শুল্ক হ্রাসে আগ্রহী বলে জানান তিনি।

ট্রাম্প এটিকে তার প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা পরে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়।

ট্রাম্প জানান, যুদ্ধ এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে শক্তিশালী করা— এই দুই ক্ষেত্রেই তার প্রশাসনের সাফল্য বিশ্বে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।

আরআর

Share this news on:

সর্বশেষ

img

সংসদ নির্বাচন নিয়ে এক্স ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন

সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দাবি Nov 21, 2025
img
কারও সঙ্গে লড়াই করার ইচ্ছে আমার নেই: জিৎ Nov 21, 2025
img
লড়াইয়ের দিনগুলো মনে পড়লে খুব ভয় করে: মিঠুন চক্রবর্তী Nov 21, 2025
img
আমাদের সময় নায়িকাদের তেমন কিছু করার থাকত না: লাবনী সরকার Nov 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহালে গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত Nov 21, 2025
img
তুষারঝড়ে থমকে গেল যুক্তরাজ্য, বন্ধ শত শত স্কুল ও বিদ্যুৎ বিপর্যয় Nov 21, 2025
img
অ্যাশেজে ২ টেস্টের গুরুদায়িত্ব সৈকতের কাঁধে Nov 21, 2025
img
প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হলেন শিক্ষা ক্যাডারের ১৮৭০ কর্মকর্তা Nov 21, 2025
img
সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক : তারেক রহমান Nov 21, 2025
img
শিখা অনির্বাণে ৩ বাহিনী প্রধানদের শ্রদ্ধাঞ্জলি Nov 21, 2025
img
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Nov 21, 2025
img
ব্রাজিলে জাতিসংঘের পরিবেশ সম্মেলনে অগ্নিকাণ্ড, হাসপাতালে অন্তত ১৩ জন Nov 21, 2025
img
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান চতুর্থ Nov 21, 2025
img
যুদ্ধ থামাতে মার্কিন পরিকল্পনায় কাজ করতে প্রস্তুত জেলেনস্কি Nov 21, 2025
img
১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া Nov 21, 2025
img
বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ Nov 21, 2025
img
তেঁতুলিয়ায় শীতের দাপট বাড়ছে Nov 21, 2025
img
ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সেনা মোতায়েন স্থগিতের নির্দেশ আদালতের Nov 21, 2025
img
ঢাকার সকাল শুরু ১৯ ডিগ্রিতে, দিনভর থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া Nov 21, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় পুলিশের ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’, গ্রেপ্তার ৬৩ Nov 21, 2025