বুধবার (২১ মে) সারাদেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পৌনে চার লাখ সহকারী শিক্ষক। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকবেন না এবং ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করবেন।
এই কর্মসূচির পেছনে রয়েছে তিনটি প্রধান দাবি—সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
ছয়টি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, সহকারী শিক্ষক পদটি এন্ট্রি লেভেল হিসেবে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা উচিত। পাশাপাশি, পদোন্নতির নিয়মে বৈষম্য দূর করে যুগোপযোগী কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সারা দেশে সহকারী শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যাবেন না। এর আগে গত ৫ মে এক ঘণ্টা ও ১৭ মে থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্মসূচি স্থগিত করে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে আমরা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি—আলোচনা চলবে, তবে কর্মসূচিও চলবে।”
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য এবং পদোন্নতির জটিলতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন। গত সোমবার বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ছয়টি সংগঠনের ৩০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কর্মসূচি স্থগিতের অনুরোধ করা হলেও শিক্ষক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
গণমাধ্যমকে শিক্ষক নেতারা বলেন, “আমাদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ আরও কঠোর হবে।
আরএ