সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা) আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম আকবর আলী এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম শরাফুদ্দিনের মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এমন কাণ্ড তূর্ণমূলের নেতাকর্মীদের হতাশ করেছে। তারা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে ঢাকার নয়া পল্টন এলাকার একটি হোটেলে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় সমন্বয়ক হিসেবে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নুর কায়েম সবুজ, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা) আসনের সাবেক এমপি এম আকবর আলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড সিমকী ইমাম খাঁন, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য সাবেক ডিআইজি খাঁন সাঈদ হাসান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম শরাফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম শরাফুদ্দিন রাগান্বিত হয়ে বারবার সাবেক এমপি আকবর আলীর দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। ওই সময় পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য খান সাঈদ হাসান মাঝখানে দাড়িঁয়ে উভয় নেতাকে নিভৃত করার চেষ্টা করছেন। একপর্যায়ে ধাক্কা লাগলে তিনিও পড়ে যান।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম শরাফুদ্দিন বলেন, সভার শেষের দিকে আগামী ২৪ মে বগুড়ায় আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে যাওয়ার জন্য খরচের বিষয়টি উঠে আসে। তখন একজন বলেন, খরচের টাকা ৪ জনকে দিতে হবে। তখন আমি মজা করে বলেছি আকবর আলী সাহেব কোটি কোটি টাকার মালিক, তিনিই দলের জন্য অনেক টাকা খরচ করেন। এই টাকাও তিনি একাই দেবেন। তখনই তিনি (এম আকবর আলী) আমাকে ধাক্কা দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেন।
তিনি আরো বলেন, আকবর আলী সাহেব বয়সী মানুষ। ডায়বেটিকসে আক্রান্ত, যে কারণে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে এমন কাজ করেছেন। খান সাঈদ হাসান মাঝখানে দাঁড়িয়ে উভয়কে নিভৃত করেছেন। আমি এতে কিছু মনে করিনি। এটা ভূল বোঝাবুঝি।
এ বিষয়ে এম আকবর আলী বলেন, একটা মিটিংয়ে নেতাদের কথাকাটাকাটি হতেই পারে। কিন্তু শরাফুদ্দিন মনে হয় অসুস্থ। সে কথা বলার সময় আমার হাত টেনে ধরেছিল। তখন জেংটা টান দেওয়ার কারণে সে চেয়ার থেকে পড়ে গিয়েছিল। সেখানে এর চেয়ে বেশি কিছু হয়নি।
আরআর/টিএ