৩০ মে মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত বাংলা সিনেমা ‘সোনার কেল্লায় যকের ধন’। বাংলা গোয়েন্দা-ভিত্তিক সিনেমার প্রতি বাঙালির এক অমলিন টান, আর সেই টানকে আরও গভীর করেছে এই সিনেমার নস্টালজিক গল্প।
এই ছবিতে রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি ‘মুকুল’-এর প্রাপ্তবয়স্ক রূপ এবং তার পুনর্জাগরিত পূর্বজন্মের স্মৃতি। সেইসঙ্গে জয়সলমীরের সেই ঐতিহাসিক লোকেশনে হয়েছে শুটিং, যেখানে একসময় ‘সোনার কেল্লা’ হয়েছিল ধারণ।
অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক বলেন, “এই ছবির গল্পটা তৈরি হয়েছে খুব স্বাভাবিকভাবে, কোনও জোরজবরদস্তি নেই। সেই মুকুল আবার ফিরছে, কিন্তু এবার বড় হয়ে—এবং তার স্মৃতি ফিরে আসছে। এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা।”
তাঁর মতে, দর্শক কেবল নস্টালজিয়ার জন্য নয়, নতুন গল্পের জন্যও হলে আসে।
এই ছবির শুটিং স্মৃতি নিয়েও উচ্ছ্বসিত কোয়েল। “ছোটবেলায় টিভিতে ‘সোনার কেল্লা’ দেখে বড় হয়েছি। এবার সেই মুকুলের বাড়িতে শুট করতে পেরেছি, এটা একেবারে স্বপ্নপূরণ।”
একইসঙ্গে ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে ‘জয়সলমীর জমজমাট’ এবং প্রেক্ষাগৃহে চলছে ফেলুদা অনুপ্রাণিত ‘বেনারসে একেন’। গোয়েন্দা ঘরানার এমন পুনরুত্থান বাংলা চলচ্চিত্রকে নতুন গতি দিচ্ছে।
কোয়েল জানালেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ও কর্মজীবনের সম্পর্ক অনেক দিনের। ‘হেমলক সোসাইটি’ থেকে শুরু, এখন একসঙ্গে কাজ করতে আরাম বোধ করেন।
নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ার নিয়ে কোয়েল বলেন, “২০০৩-এ ‘নাটের গুরু’ দিয়ে শুরু করেছিলাম। ২২ বছর পেরিয়ে গেল। এখন বাবা রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে ‘স্বার্থপর’ ছবিতে অভিনয় করছি—যেখানে বাবা একেবারে আলাদা চরিত্রে।”
শীতের দেশ সুইজারল্যান্ডে বরফের মধ্যে শাড়ি পরে নাচার কথা মনে করে আজও হাসি পায় তাঁর। সেই সময় দেব বা জিতের সঙ্গে তাঁর বাণিজ্যিক ছবি বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ বলা যায়।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত বা ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে কাজ না হওয়া নিয়ে সামান্য আক্ষেপ থাকলেও, নতুনদের কাজ দেখে তিনি সন্তুষ্ট এবং আশাবাদী।
আরএ/এসএন