সকাল থেকে রাজধানী জুড়ে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে, আর আকাশ ঢাকা কালো মেঘে। আজ রোববার (১ জুন) সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমানের সূচক ছিল ৯৭, যা ‘সহনীয়’ হিসেবে বিবেচিত। তবে এই মান নিয়েও বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা রয়েছে ১২৫ শহরের মধ্যে ১০তম স্থানে।
অপরদিকে ১৬২ স্কোর নিয়ে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিংশা। ১৪৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চিলির সান্তিয়াগো, ১৩৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার মেদান, ১২২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্তানে ভারতের দিল্লি ও ১২২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন-প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।
মূলত ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
আরএ/এসএন