নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সনমান্দী ইউনিয়নের কাফাইয়াকান্দা এলাকায় অবস্থিত সোনারগাঁ ডেইরি ফুড অ্যান্ড এগ্রো খামারে পাঁচ বছর ধরে লালন-পালন করা হচ্ছে ১,১৫০ কেজি ওজনের গরু ‘মহারাজা’। খামারের মালিক নজরুল ইসলাম জানান, নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাস, সাইলেজ ও উন্নতমানের দানাদার খাবার খাইয়ে মহারাজাকে বড় করে তুলেছেন তিনি। এবার ঈদে হাটে উঠিয়ে গরুটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছেন, যা সোনারগাঁয়ের হাটে সাড়া ফেলবে বলে আশা করছেন তিনি।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১২শ গরুর খামার রয়েছে। তার মধ্যে অর্ধ শতাধিক খামারে সংখ্যায় বেশি গরু পালন করা হয়। এ বছর সোনারগাঁয়ে ২০ হাজারের অধিক কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ৯ হাজারের মতো পশু রয়েছে। কোরবানির পশুর বাকি চাহিদা বিভিন্ন জেলা থেকে পূরণ করা হবে।
সোনারগাঁ ডেইরি ফুড অ্যান্ড এগ্রো খামারের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর তিনি তার খামারে শতাধিক গরু মোটাতাজা করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে থাকেন। তার খামারে তিনটি বড় গরু রয়েছে। যার মধ্যে ৮শ কেজি ওজনের একটি গরু বিক্রি হয়েছে। সাড়ে ৮শ কেজি ওজনের একটি গরু ও সাড়ে ১১শ কেজি ওজনের মহারাজার দরদাম চলছে। মহারাজার দাম হাকানো হয়েছে ১৬ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে সব সময় তাদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের পরামর্শে তার খামারের গরুগুলো লালন-পালন করা হয়।
সোনারগাঁ ডেইরি ফুড অ্যান্ড এগ্রো খামারের কর্মী মিজানুর রহমান বলেন, তাদের গরুগুলো সুষম খাদ্য দিয়ে লালন-পালন করে থাকেন। ভুট্টা, ঘাস, সাইলেজ, খৈল, ভুষি খাইয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করে থাকে। তাদের গরুগুলো গুরুত্ব সহকারে যত্ন নেন।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছাম্মৎ নইফা বেগম বলেন, প্রতিটি খামারে তাদের পক্ষ থেকে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। খামারগুলোর মধ্যে প্রায় ৭টি খামারে উল্লেখ করার মতো ওজনের গরু রয়েছে। সোনারগাঁ এগ্রো খামারে সাড়ে ১১শ কেজি ওজনের মহারাজা নামের একটি গরু রয়েছে। এছাড়া তাদের খামারে ৮শ কেজি ওজনের আরও দুটি, খাঁটি এগ্রো খামারে ৯শ কেজি ওজনের দুটি কোরবানির গরু আছে।
আরএ/এসএন