জাতীয় দলের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি ও তারকা ক্রিকেটারদের নিয়মে বেড়াজালে রাখতে উপমহাদেশীয় দলগুলোকে সাম্প্রতিক বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে জোর দিতে দেখা যায়। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের নিয়েও পাকিস্তান সেই পথে হাঁটতে যাচ্ছে। প্রতি মৌসুমে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কমপক্ষে একটি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলতে বাধ্য করতে যাচ্ছে পিসিবি।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’। স্থানীয় ক্রিকেটের কাঠামো ও মান বৃদ্ধির পাশাপাশি উদীয়মান প্রতিভা তুলে আনার লক্ষ্য দেশটির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে সোমবার উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটীয় সভা হয়েছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের এসব প্রতিযোগিতামুখী করার আলোচনা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে পাকিস্তানের। সেই দুই সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে নেওয়া হবে ঘরোয়া টুর্নামেন্টকে। এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে বাবর-রিজওয়ানদের অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে। নির্ধারিত এসব ভবিষ্যৎ সূচি নিয়ে পিসিবি সভাপতির সামনে নিজেদের লক্ষ্য ও প্রস্তুতির কথা জানান বোর্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ডিরেক্টর উসমান ওয়াহলা।
বিভিন্ন বড় সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে দেশে ও দেশের বাইরে পাকিস্তান শাহিন্স টিম কিংবা ‘এ’ দলের মতো পাইপলাইন প্রস্তুতের কিছু প্রজেক্ট রয়েছে দেশটির। যারা এর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডেও সিরিজ খেলেছে। এসব দলে থাকা ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আনার কথাও ভাবছে পিসিবি। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন সভাপতি মহসিন নাকভি।
অভ্যন্তরীণ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) কোচ মাইক হেসন, চিফ অপারেটিং অফিসার সুমাইর আহমেদ সায়েদ, টিম ম্যানেজার নাভিদ আকরাম চিমা, হাই-পাফরম্যান্সের ডিরেক্টর আকিব জাভেদ ও জাতীয় দলের অধিনায়ক সালমান আলি আগা।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক ও মহাদেশীয় আসরে লম্বা সময় ধরে বড় সাফল্য নেই পাকিস্তানের। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং সর্বশেষ ঘরের মাঠে চলতি বছর অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি দলটি।
সে কারণে পাকিস্তান নিজেদের পুরোনো ছন্দ ফেরাতে তোড়জোড় চালাচ্ছে। যদিও নির্বাচক প্যানেল ও কোচিংয়ে বারবার রদবদল এবং অধিনায়কত্বে অল্প সময়ের ব্যবধানে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়গুলো তারা এড়াতে ব্যর্থ!
আরএম/এসএন