ইসির প্রতীকের তফসিলে দাঁড়িপাল্লা আনতে হবে : সানাউল্লাহ

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফেরত দিতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ তারা তাদের দলীয় নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দু’টিই ফেরত পাবেন। তবে দলীয় প্রতীকটি যেহেতু আমাদের প্রতীকের তফসিলে আনতে হবে এবং দাপ্তরিক প্রক্রিয়া আছে, তাই একটু সময় লাগবে। আরেকটা কারণে একটু সময় লাগবে। কারণ আমরা প্রতীকের সংখ্যাটা ৬৯ থেকে ১০০টিতে উন্নীত করবো।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল ফজল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন গত ১ জুন মহামান্য আপিল বিভাগ ২০১৩ সালের হাইকোর্টের একটি রায়ের মাধ্যমে দলটির নিবন্ধন যে বাতিল করেছিল, সেটাকে পূর্বাপর অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আদেশের কপি নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলেছেন এবং ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। যে কারণে আমরা আলোচনা করেছি। দ্রুত জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাবে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাদের কাছে একটি আবেদন করেছে। তারা চান তাদের দাঁড়িপাল্লা যে দলীয় প্রতীকটি ছিল সেটিও যেন ফেরত পান। আমরা এটা নিয়েও বিশদ আলোচনা করেছি। ২০১৩ সালে জামায়াতের যে প্রতীকটি ছিল সেটা বিবেচনায় ছিল, নিবন্ধন যেটা দেওয়া হয়েছিল ৫ নভেম্বর ২০০৮ সালে সেই নিবন্ধন প্রজ্ঞাপনে নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ এবং চ-১ক তে বলা আছে, কোনো দলকে কোনো প্রতীক দিলে তা সংরক্ষিত রাখতে হবে। এখন সামনে আসছে যে, আদালতের ফুল কোর্ট সভার আদেশে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি বাতিল করা হয় ২০১৬ সালে। এটি ছিল একটি প্রশাসনিক পত্র, যেটি রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পেয়েছিল এবং ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সামনে জামায়াত ইসলামীর আবেদন ছিল, সেখানে একটি রিট পিটিশন এবং একটি আদেশও এসেছে। রিট পিটিশন নম্বর ৩৭৯৭, ২০০৬। এটাতে দাঁড়িপাল্লা আদালতের ন্যায় বিচারের প্রতীক, তাই যেন একটা দলীয় প্রতীক না হতে পারে এই মর্মে একটি আপিল দাখিল হয়েছিল। সেই আপিল মাননীয় আদালত খারিজ করে দেন এবং বলেন, এটি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করার কারণে কোনোভাবেই আদালতের মান ক্ষুন্ন করবে না। এই রায় এখনও বলবৎ আছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পেসারদের ভেতর প্রতিযোগিতা ইতিবাচক বলে মনে করেন টেইট Dec 01, 2025
img
ইমরান মাহমুদুলের সুরে আসছে তাসনিয়ার নতুন গান Dec 01, 2025
img
আদালতে হাজির হলেন নেতানিয়াহু Dec 01, 2025
img
আমি মেসি হতে চাই না: লামিন ইয়ামাল Dec 01, 2025
মিগ-২৯ নিয়ে খামেনির নতুন সামরিক পরিকল্পনা Dec 01, 2025
গাজীপুরে কুরআন তেলাওয়াত করে বেগম জিয়ার জন্য দোয়া প্রার্থনা Dec 01, 2025
img

জবানবন্দিতে সাক্ষী

‘হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে পিলখানায় ঢোকে ২৫ জন’ Dec 01, 2025
img
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের জেলা আমির Dec 01, 2025
img
সেন্টার দখল করে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন সেদিন ভুলে যান : চরমোনাই পীর Dec 01, 2025
img
মসজিদে বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া Dec 01, 2025
img
জাতীয় পার্টি নিয়ে কুসুম কুসুম প্রেম চলবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Dec 01, 2025
img
আদালতের রায়কে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিলেন টিউলিপ সিদ্দিক Dec 01, 2025
img
শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৫ Dec 01, 2025
img
মায়ের নামে প্লট বরাদ্দ নিতে বিদেশ থেকে ফোন করেছিলেন টিউলিপ: আদালত Dec 01, 2025
img

জিল্লুর রহমানের বিশ্লেষণ

ফাঁসির রায়, জুলাই সনদ আর তরুণ ভোট : কোন দিকে যাচ্ছে নতুন বাংলাদেশ? Dec 01, 2025
img
শাকিবের ‘প্রিন্স’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অ্যালেন স্বপন! Dec 01, 2025
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ঐতিহাসিক স্থাপনা কুমিল্লার চণ্ডীমুড়া Dec 01, 2025
বেগম জিয়ার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন? যা বললেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দিপু Dec 01, 2025
img
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অপুকে কী পরামর্শ দিলেন শাকিব? Dec 01, 2025
আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন: বাণিজ্য উপদেষ্টা Dec 01, 2025