চট্টগ্রামে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ঈদ জামায়াতের মাঠ পরিদর্শন করতে এসে তিনি এ কথা বলেন। জানান, বর্জ্য নিয়ে নগরবাসীর যেকোনো অভিযোগ শুনতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফোন করলেই সাথে সাথে গিয়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করবে কর্মীরা।
এর আগে মাঠ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র। চট্টগ্রাম প্রধান ও প্রথম ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭ টায় এ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের মাঠে। পাশাপাশি নগরীর ৪১টি ওয়ার্ল্ডে বসবে সিটি করপোরেশনের অধীনে একটি করে ঈদ জামায়াত।
মেয়র বলেন, ‘কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ও বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কার করার জন্য ব্লিচিং পাউডার বিতরণসহ সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সুষ্ঠু তদারকির জন্য ঈদের দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরের দামপাড়া গেস্ট হাউসের নিচে একটি কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। এই কন্ট্রোল রুম থেকে আমি নিজে পুরো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব। নগরবাসীকে অনুরোধ করছি, যেকোনো অভিযোগ বা জরুরি সহযোগিতার জন্য এই কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করবেন।’
নগরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, ‘এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের সফলতার জন্য ওয়ার্ড সচিব, সুপারভাইজার, আঞ্চলিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য অক্সিজেন ও বায়েজিদ এলাকায় নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি সবাইকে কোরবানির আত্মশুদ্ধির শিক্ষা গ্রহণ করে একটি পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব ও জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
এসময় চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী অনিক দাশগুপ্ত, ফখরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পিএ/টিএ
