সৌদির ওমরাহ-ওয়ার্ক ভিসা স্থগিত থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত

বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের আবেদনকারীদের ওয়ার্ক ও ওমরাহ ভিসা প্রদানে সাময়িক স্থগিতাদেশ সৌদি আরব। পারিবারিক ভিসা প্রদানেও জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। গত ৩১ মে থেকে কার্যকর হওয়া এই আদেশ বলবৎ থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যতীত স্থগিতাদেশের আওয়তায় পড়া বাকি ১৩টি দেশ হলো পাকিস্তান, ভারত, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন এবং মরক্কো।

সেই সঙ্গে পারিবারিক ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ওয়ার্ক ভিসার মতো এসব আদেশও এই ১৪টি দেশের ওপর ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে এ স্থগিতাদেশ। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ জুন পর্যন্ত নতুন কোনো ওয়ার্ক ভিসা বা ওমরাহ ভিাস প্রদান করা হবে না, এমনকি ৩১ মে’র আগে যারা ভিসা পেয়েছেন এবং এখনও সৌদিতে আসেননি— স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকাকালে সৌদিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তারা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন।

মূলত হজযাত্রীদের আগমন এবং হজ শেষে তাদের সৌদি থেকে বিদায় নেওয়া নির্বিঘ্ন এবং ঝামেলামুক্ত রাখতেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৪ জুন শুরু হয়েছে চলতি বছরের হজযাত্রা, শেষ হয়েছে ৭ জুন। হাজিদের একটি বড় অংশই জুনের শেষ নগাদ সৌদি থেকে বিদায় নেবেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব দেশের নাগরিকরা সৌদি ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাদের মধ্যে এই ১৪টি দেশের আবেদনকারীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ভিসা নীতিতেও বদল এনেছিল সৌদি আরব। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে এই দেশগুলোর নাগরিকদের এখন থেকে ‘সিঙ্গল এন্ট্রি’ ভিসা প্রদান করা হবে। অর্থাৎ ওই ভিসা দেখিয়ে এক বারই সে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নাগরিকেরা। ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন।

অভিযোগ, এত দিন ১৪টি দেশের কিছু বাসিন্দা সৌদির ভিসা (মাল্টিপল এন্ট্রি) নিয়ে হজের সময় নাম অন্তর্ভুক্ত না করিয়েই মক্কায় চলে যেতেন। এর ফলে সেখানে ভিড় বাড়ত।

সূত্র : আরব টাইমস

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লড়াইয়ের পথেই বিশ্বাস অভিনেত্রী স্বরলিপির Nov 18, 2025
img
অল্প সময়ে ঢালিউডে শক্ত অবস্থান গড়লেন শরিফুল রাজ Nov 18, 2025
img
মাঝে মাঝে ভাবি মুশফিক খুবই একঘেয়ে জীবন যাপন করেন: মুমিনুল হক Nov 18, 2025
img
পরীমনির সঙ্গে তুলনা করায় ডাকসু নেত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ Nov 18, 2025
img
নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না: আলিয়া ভাট Nov 18, 2025
img
লুটেরা-ডাকাত দলের দ্বারা জনগণের উপকার হবে না: রিজভী Nov 18, 2025
img
এনবিআরের সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Nov 18, 2025
img
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই Nov 18, 2025
img
পাকিস্তান সফরের মাঝপথেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন ২ লঙ্কান ক্রিকেটার Nov 18, 2025
img
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার পূর্বাভাস Nov 18, 2025
img
ভাগ্যশ্রীর তেলুগু ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় Nov 18, 2025
img
নির্বাচন বানচাল ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই যুবদল নেতাকে হত্যা : নয়ন Nov 18, 2025
img
ভারতীয় নাগরিকদের জন্য দুঃসংবাদ! Nov 18, 2025
img
পিএসজির কাছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি এমবাপ্পের Nov 18, 2025
img
অখন্ড ২-এ আসছে সিজনের বড় মাস অ্যান্থেম Nov 18, 2025
img
বাজার নিয়ন্ত্রণে রোজার আগেই চাল ও গম আমদানি: অর্থ উপদেষ্টা Nov 18, 2025
img
শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি Nov 18, 2025
img
আনসার বাহিনীর জন্য কেনা হবে ১৭ হাজার শটগান : অর্থ উপদেষ্টা Nov 18, 2025
img
জকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণা শিবিরের Nov 18, 2025
img
ভারত এখন উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অস্থির : মোদি Nov 18, 2025