যে শর্তে হামলা বন্ধে রাজি ইরান

শনিবার রাত থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আবারো শুরু হয়েছে ইরান-ইসরাইল সংঘাতের নতুন অধ্যায়।

তেহরান থেকে উৎক্ষেপণ করা প্রায় ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের হাইফা শহরের একটি তেল শোধনাগারে সরাসরি আঘাত করে। এই হামলায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও অংশ নেয় বলে দাবি করা হয়েছে।

জবাবে ইসরাইলও পাল্টা হামলায় নামে। তাদের টার্গেটে ছিল ইরানের ইস্পাহান প্রদেশের একটি প্রতিরক্ষা স্থাপনা এবং সিরাজ শহরের একটি ইলেকট্রনিক্স কারখানা। ইসরাইলি সেনাবাহিনী ইরানের সাধারণ জনগণকে ওইসব কারখানা ও আশপাশের এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলের এই হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "যদি ইরান আমাদের ওপর কোনো হামলা চালায়, তার ফল হবে ভয়াবহ।"
পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে ইরান ও ইসরাইল উভয় দেশেই আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলেও।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি তেহরানে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, “আমরা আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছি। যদি ইসরাইল হামলা বন্ধ করে, তাহলে আমরাও প্রতিক্রিয়া বন্ধ করব।”

এই বক্তব্য ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে।

গত দুই দিনের সংঘাতে প্রাণহানির সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।

* ইরান জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।

* অন্যদিকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি হামলায় ১০ জন ইহুদি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।

* এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন ইসরাইলি নাগরিক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের উত্তেজনা শুধু ইসরাইল ও ইরান নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে একটি বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ফলে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল এখন পরিস্থিতি শান্ত করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img
মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img
ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার Sep 14, 2025
img
রাকসু নির্বাচনে প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা সন্ধ্যায়, এরপর প্রচার-প্রচারণা Sep 14, 2025
img
নির্বাচনকে সামনে রেখে এক ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে : জাহেদ উর রহমান Sep 14, 2025
img
কারাবন্দি আসামিদের সাজার মেয়াদ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img
পটুয়াখালীর বাউফল আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আটক Sep 14, 2025
img
সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ Sep 14, 2025
img
মেক্সিকোর ইউকাতানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ Sep 14, 2025
img

জুলাই অভ্যুত্থান

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 14, 2025
img
আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবন-২ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img
ডাকসু নেতাদের মধ্য থেকে ৫ সিনেট সদস্য নির্বাচিত Sep 14, 2025
img
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে দুবাই পুলিশের কড়া সতর্কবার্তা Sep 14, 2025
img
মেসির পেনাল্টি মিস, শার্লটের কাছে বড় হার মিয়ামির Sep 14, 2025
img
হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে হামবুর্গকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন Sep 14, 2025
img
এখনো আমরা ডোর টু ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাব: সাদিক কায়েম Sep 14, 2025
img
বিএনপি নির্বাচিত হলে দুই মাসে গ্যাস সুবিধা পাবে নাটোরবাসী: দুলু Sep 14, 2025
img
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে শাকিব খানের শোকবার্তা Sep 14, 2025
img
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা Sep 14, 2025
img
নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে জনতার ভোটে, ঘোষণা আজ Sep 14, 2025