সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের সঙ্গে বিএনপির যে সম্পর্কের অবনতি এবং যেগুলো নিয়ে বিএনপি খুব প্লাস পয়েন্টে ছিল- সেনাবাহিনীর সমর্থন, বিএনপি ম্যাজিক্যালি পেয়ে গেছে। এ কারণে হলো- ওয়ান ইলেভেনে তো ঘটেছে বিএনপি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে। তারেক রহমানের ওপর যে নির্যাতন সেটা করেছে কারা? তৎকালীন ডিজিএফআই তো।
এজন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব ছিল।
কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, তিনি যখন এসে ম্যাডাম জিয়ার সঙ্গে তার বাসায় দেখা করলেন, তাকে বিদেশে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে অভ্যর্থনা জানালেন এবং ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি যে স্ট্যান্ড নিলেন এবং জানুয়ারি মাসের এক তারিখে নতুন একটি সরকার দেখতে চান- এসবের বেনিফিসিয়ারি কারা? বিএনপি।
বুধবার (১৮ জুন) এক ইউটিউব চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, এই কাজটা সেনাপ্রধান করেছেন, বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে তার। যার কারণে সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে অথবা তিনি নিজে নিজে এই কাজটা বলেছেন।
ড. ইউনূসকে তার হয়ত পছন্দ হয় না, কেন পছন্দ হয় না- এই যে খলিলুর রহমান সাহেবের জন্য। প্রো- ইন্ডিয়ান লবি, অ্যান্টি ইন্ডিয়ান লবি এবং আমেরিকান লবি- যারা এই কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটছে, যার সঙ্গে সেনাবাহিনী সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে এবং তারা এটা রিগ্রেড করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি যে খলিলুর রহমান বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের তো খলিল সাহেবের সঙ্গে কোনো দূরত্ব নেই এবং খুশি হওয়া উচিত। কিন্তু তা না করে তারা খলিলুর রহমানের পদত্যাগ দাবি কেন দাবি করছেন? মূলত সেন্টমার্টিন ও করিডর ইস্যু নিয়ে।
এসব ইস্যুতে তারা কাকে খুশি করতে চেয়েছে। তারা খুশি করতে চেয়েছে সেনাবাহিনীকে। এখন সেই খলিলুর রহমান সাহেবকে যখন আবার বিএনপির সামনে তুলে ধরা হলো, এর চেয়ে কোন বিব্রতকর আর নাই তারেক রহমানের জন্য।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির মধ্যে যে কয়েকজন প্রো ইন্ডিয়ান রয়েছেন, বলা হয়, অভিযোগ করা হয়- তার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে আছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সে ভারতের দাবি হয়, কথা শুনতে হয়।
আমীর খসরু, সালাউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুদেরকে ‘র’-এর বলে ট্যাগ দেয় সরকারপন্থি, ইউনূসপন্থি বা জামায়াতপন্থি লোকজন। তো সেক্ষেত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্ট্যান্ডটা কী? এন্টিভারত। সেখানে ড. ইউনূসকে যদি অপমান, কষ্ট, বেদনা দিতে হয়- তার সামনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাহেবকে উপস্থিত করা বা তার পোর্ট্রেট ছবি হাজির করার চেয়ে আর কষ্টকর কিছু নেই। বিএনপি এটাই করেছিল।
আরএম