মহম্মদ শামি। সময়টা খুবই কঠিন গিয়েছে তাঁর। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে একবছরের বেশি সময় খেলতে পারেননি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল তাঁর। আইপিএলেও খেলছেন। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজে জায়গা পাননি। নির্বাচকদের যুক্তি ছিল, টেস্ট ক্রিকেটে খেলার মতো পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে শামিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর।
সেই শামিকেই নাকি একটা সময় মাঝেমাঝেই জ্বালাতন করতেন শাস্ত্রী। তিনি জানান, শামির কাছ থেকে সেরা খেলাটা বেরিয়ে আসত তাঁকে রাগিয়ে দিলেই। একবার বিরিয়ানি খাওয়া নিয়ে শামিকে রাগিয়ে দিয়েছিলেন শাস্ত্রী। আর তারপর যা ঘটেছিল, সেটা ইতিহাস। সোনি স্পোর্টসের পক্ষ থেকে পোস্ট করা এক ভিডিওয় এ কথা তুলে ধরেছেন রবি শাস্ত্রী।
শাস্ত্রী স্মরণ করেছেন ২০১৮ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কথা। ওই সিরিজে ভারত হোয়াইটওয়াশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল। মাত্র ১০০ রান করলেই জিতে যেত দক্ষিণ আফ্রিকা। হাতে ছিল ৭ উইকেট। লাঞ্চ ব্রেকের সময় শাস্ত্রী রাগিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ শামিকে। কীভাবে? শাস্ত্রী বলেন, “খুবই কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। খেলায় টেনশনের মুহূর্ত ছিল। লাঞ্চের সময় দেখি শামির হাতে বিরিয়ানির প্লেট। আমি তা দেখেই বলেছিলাম, বিরিয়ানি দেখেই কি তোমার খিদে মিটে গেল?” রবি শাস্ত্রীর ‘কটাক্ষ’ শুনে রেগেমেগে শামি বলেন, “প্লেটটা নাও। আমার বিরিয়ানির দরকার নেই। বিরিয়ানি নরকে যাক।”
এরপর শাস্ত্রী তৎকালীন বোলিং কোচ ভরত অরুণকে বলেন, “ও কিন্তু রেগে আছে। ওকে একা থাকতে দাও। শামি যদি নিজে থেকে কথা বলতে আসে, তাহলে বলো উইকেট নিতে।” এরপর মাঠে নেমে তাণ্ডব চালান শামি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে তিনি একাই নিয়েছিলেন ১২.৩ ওভারে ২৮ রানে ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। টিম ইন্ডিয়া সেই ম্যাচে ৬৩ রানে জেতে। এরপর, ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ভরত অরুণ এক প্লেট বিরিয়ানি নিয়ে এসে শামিকে বলেন, “এবার মন ভরে যত খুশি বিরিয়ানি খাও।”