নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টেলিভিশন টক শো-তে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান জানান, সংস্কার ও বিচারের যথাযথ অগ্রগতি এপ্রিলের মধ্যে নিশ্চিত করা হবে বলে যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা থেকেই নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণে একটি যৌক্তিক ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ওই ঘোষণার কিছুদিন পর হঠাৎ করেই ফেব্রুয়ারিকে নির্বাচনকাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করেছে।
টক শোতে বলা হয়েছে, এপ্রিলে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যেই নির্বাচন সংক্রান্ত সময়কাল সম্পর্কে প্রত্যাশা তৈরির সূত্রপাত ঘটানো হয়েছিল।
সেজন্য, পরবর্তীতে তাঁর পক্ষ থেকে সময়সূচিতে পরিবর্তন এনে ফেব্রুয়ারিকে নির্বাচনের সময় বলা হলে, সেটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিসরে দ্ব্যর্থ তৈরি করেছে। এই অবস্থাকে জয়েন্ট স্টেটমেন্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, কারণ সেখানে সংশ্লিষ্ট শর্ত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
বিএনপির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন—এমন একটি অভিযোগও অনুষ্ঠানে তোলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগেই বিভিন্ন দল ও জোটের মধ্যে অবিশ্বাস ও নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
অভিযোগ করা হয়েছে, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি—এই তিনটি দল একযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধাচরণে নিয়োজিত রয়েছে, এবং এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হয়েছে।
জাহেদ উর রহমানের মতে, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তবে তার শাসনের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে—তবে সেটি হবে নির্বাচনের পর। কিন্তু নির্বাচনকে আগে থেকেই সন্দেহ ও অনাস্থার আবরণে ঢেকে দেওয়ার প্রচেষ্টা একটি বৃহত্তর সংকটের জন্ম দিতে পারে। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে একটি ছায়া পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এফপি/ এসএন