শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি থেকে একের পর এক দুঃসংবাদ আসছেই। কখনো নিজ দেশের ইন্ডাস্ট্রি থেকে, কখনো পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে। গত ২০ জুন পাকিস্তানের করাচির গুলশান-ই-ইকবাল এলাকায় ফ্ল্যাট থেকে প্রখ্যাত অভিনেত্রী আয়েশা খানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ধারণা করে, সপ্তাহ খানেক আগে হয়তো মৃত্যু হয়েছে এ অভিনেত্রীর।
এবার প্রখ্যাত সেই অভিনেত্রীর মৃত্যুর রেশ কাটিয়ে উঠার আগেই সামনে এলো আরেকটি দুঃসংবাদ। না ফেরার দেশে পাড়ি জামিয়েছেন ভারতের মারাঠি ইন্ডাস্ট্রির বহুল পরিচিত অভিনেতা তুষার ঘাদিগাঁওকর। শুক্রবার (২০ জুন) ভারতের গোরেগাঁও পশ্চিমে ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর।
সংবাদামাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেতা তুষারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গোরেগাঁও পুলিশ দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কাজ না পাওয়ার চাপে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ অভিনেতা।
এ তারকা মারাঠি সিনেমা, টিভি সিরিয়াল ও থিয়েটারে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। মারাঠি সংগীত নাটক ‘সংগীত বিবত আখ্যান’-এরও অংশ ছিলেন তিনি। নিজ ব্যানারে ঘণ্টা নাদ প্রোডাকশনের অধীনে মিউজিক ভিডিও প্রযোজনা করতেন তুষার।
এ ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোরেগাঁও পশ্চিমের রাম মন্দির রোডের একটি ফ্ল্যাটে একজন অচেতন ব্যক্তির খবর আসে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। পরে সেখানে পুলিশ সদস্যরা পৌঁছে অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তাকে। এরপর ট্রমা কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, অভিনেতা তুষার মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। গত এক বছর ধরে মানসিক চাপে ছিলেন। বাসায় যখন কেউ নেই, ঠিক তখনই গলায় ফাঁস দিয়ে স্বেচ্ছায় মারা যান তিনি। আত্মীয়-স্বজনদের বক্তব্য রেকর্ডের সময়, তাদের বক্তব্যে কারও প্রতি কোনো সন্দেহ বা অভিযোগ প্রকাশ পায়নি।
কেএন/এসএন