বি-টাউনে ফ্যাশনিয়েস্তা বলে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে তার। আভিজাত্য আর রুচির মেলবন্ধনে সাজপোশাক বরাবরই প্রশংসনীয় এবং নজরকাড়া। ফ্যাশন মিটারেও তিনি সর্বদা শিরোনামেই বিরাজ করেন। তার স্টাইল স্টেটমেন্ট সকলের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। মা হওয়ার পরও ঠিক আগের মতোই গ্ল্যামারাস সোনাম কাপুর। তার গ্ল্যামার, ফিগার এক ইঞ্চিও এদিক-ওদিক হয়নি। তবে সে-ই সোনাম কাপুরের কাছে সৌন্দর্যের অনেক আগে মানবতা। তাই তো নিজের ১২ ইঞ্চি চুল দান করলেন তিনি। অভিনেত্রীকে ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা।

সোশাল মিডিয়ায় স্যালোঁর একটি ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। তাতে একেবারে ফিতে ধরে তার ১২ ইঞ্চি চুল কাটতে দেখা গিয়েছে। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে সোনাম লেখেন, “১২ ইঞ্চি চুল কেটে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ওই ক্যাপশনেই বাবা অনিল কাপুরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। কেন আচমকা বাবাকে ধন্যবাদ দিলেন অভিনেত্রী? আসলে সোনাম বরাবরই একঢাল চুলের অধিকারী। তার চুল বরাবরই বেশ প্রশংসাযোগ্য। তা তার বাবার তরফে জিনগত পাওয়া। সে কারণেই বাবাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সোনাম। বলে রাখা ভালো, সোনাম যেন ‘পাপা কি পরী’। আবার অনিলকন্যা সোনাম কাপুর সুগৃহিণীও। বিয়ের পর থেকেই বিটাউনে তার উপস্থিতি খানিক কম! একেবারে পাকা গিন্নির মতো ঘর-সংসার সামলাচ্ছেন। পুত্র বায়ুকে নিয়েই আনন্দ আহুজা এবং সোনমের সুখের ঘরকন্না।
চুল নিয়ে প্রতিটি মানুষই কমবেশি খুঁতখুঁতে। মহিলাদের ক্ষেত্রে সে ভাবনা যেন কয়েকগুণ বেশি। আবার অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে এসব ব্যাপারে সচেতন হওয়াই স্বাভাবিক। তবে নিজের সৌন্দর্যের কথা না ভেবে শুধুমাত্র মানবিক উদ্দেশে অভিনেত্রীর চুল দান নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। সোশাল মিডিয়ায় তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীকে ধন্য ধন্য করছেন সকলে।
এফপি