মালয়ালম সিনেমার এক প্রাণবন্ত প্রেমকাহিনির গল্প দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। আর এখন তিনি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার নতুন মুখ, যার চারপাশে শুধু উত্সাহ, সম্ভাবনা আর স্টারডমের আলো। বলছি মমিতা বাজু-এর কথা—প্রেমালু সিনেমার সাফল্যের পর যিনি এক লাফে পৌঁছে গিয়েছেন প্যান-ইন্ডিয়া স্টেজে।
যদিও মমিতা বাজু ইতিমধ্যে একাধিক মালয়ালম সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তবে প্রেমালু-ই যেন তাঁর ভাগ্য বদলে দেয়। সরল, স্বতঃস্ফূর্ত আর প্রাণবন্ত অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেন তিনি। মালয়ালম ও তেলুগু দুই ভাষাতেই এই ছবি বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে রাজামৌলির ছেলে এস. এস. কার্তিকেয়া ছবিটির তেলুগু ভার্সন প্রমোট করায় দক্ষিণে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান মমিতা।
তারপর থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। এখন একের পর এক বড় প্রজেক্টে যুক্ত হচ্ছেন তিনি। সুরিয়া অভিনীত এবং ভেঙ্কি আটলুরি পরিচালিত দ্বিভাষিক ছবিতে চূড়ান্ত হয়েছেন তিনি। এছাড়া থালাপতি বিজয়-এর বিপরীতে জননায়কন ছবিতেও দেখা যাবে তাঁকে—যা ২০২৬ সালের অন্যতম বড় মুক্তির ছবি হতে চলেছে।
আরও চমক রয়েছে ডিউড নামে একটি ছবি—যেটি প্রযোজনা করছে মাইথ্রি মুভি মেকার্স। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্র কুরাল-এর ভূমিকায় অভিনয় করবেন মমিতা। ইতিমধ্যেই চরিত্রটি ঘিরে শুরু হয়েছে কৌতূহল। দীপাবলি ২০২৫-এ মুক্তি পাবে ডিউড—যা হতে পারে মমিতার ক্যারিয়ারে আরেকটি উৎসবমুখর ব্লকবাস্টার।
এই সময়ে দক্ষিণী সিনেমার এক নবাগত অভিনেত্রীর এত দ্রুত উত্থান সত্যিই নজিরবিহীন। মাত্র এক বছরে মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে সুরিয়া ও বিজয়ের মতো সুপারস্টারের সঙ্গে অভিনয়—এ যেন স্বপ্নের পথচলা।
সম্প্রতি তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছায় ভেসে গেছেন মমিতা। সুরিয়া ৪৬ এবং ডিউড-এর প্রযোজক সংস্থাগুলিও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ পোস্টার প্রকাশ করেছে। ভক্তরা বলছেন—“তিনি হচ্ছেন দক্ষিণী সিনেমার পরবর্তী বড় কিছু।”
‘গার্ল নেক্সট ডোর’ ভাবনা, প্রাকৃতিক অভিনয় ও আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি—সব মিলিয়ে মমিতা বাজু এখন রয়েছেন তারকা খ্যাতির ফাস্ট ট্র্যাকে।
প্রেমালু-র প্রেম থেকে শুরু করে প্যান-ইন্ডিয়া রাইজ—মমিতা বাজু এখন শুধুই নতুন মুখ নন, তিনি হয়ে উঠছেন ভারতীয় সিনেমার এক নতুন শক্তি।
এসএন