পুষ্পা দুই, সালার, কেজিএফ, বিক্রম — এমন বড় বাজেটের ম্যাস সিনেমাগুলো একের পর এক বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই জয়যাত্রার মাঝেই জমছে এক নতুন ক্ষোভ, বিশেষ করে নারী দর্শকদের মনে। একসময় দর্শকদের কাছে হিরো মানে ছিল রক্তাক্ত মুখ, বুনো দাড়ি আর কুঞ্চিত ভ্রু — যা বাস্তবতার ছোঁয়া এনে দিত। অথচ সেই রাফ-টাফ হিরোই আজ গা-ছাড়া একঘেয়েমির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজকাল প্রায় সব হিরোই যেন একই ছাঁচে ঢালা। আল্লু অর্জুন থেকে যশ, প্রভাস থেকে কমল হাসান — সবার চেহারা, পোশাক আর চরিত্র একই ছন্দে গড়া। ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে চেনা দায়। আর তাদের আচরণ?
আবেগহীন, চুপচাপ, সহিংস। নারী চরিত্রগুলোও যেন শুধুই সাজানো গ্ল্যামার, নিজস্ব কণ্ঠ বা শক্তি নেই। এই একপেশে হিরোদের প্রভাব শুধু রুপালি পর্দায় সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তব জীবনেও পুরুষদের আচরণে ছাপ ফেলছে। শক্তিকে অনেকে ভাবছে সহিংসতার সমান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন এরই প্রতিবাদে সরব অনেকে। অভিযোগ উঠছে, সিনেমাগুলো অজান্তেই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা আরও পোক্ত করছে। নারী দর্শকরা চাইছেন গল্পের কেন্দ্রে এমন নারী চরিত্র, যারা কেবল হিরোর পাশে নয়, সমানতালে লড়তে পারে।
তবে সমালোচনা মানেই হিরোকে দুর্বল করতে হবে এমন নয়। বরং দরকার হিরোদের বহুমাত্রিক রূপ — যেখানে শক্তি থাকবে, সঙ্গে থাকবে আবেগ, ভালোবাসা আর মানবিকতা। সিনেমা মানেই শক্তি আর রক্ত নয়, গল্প আর চরিত্রের বৈচিত্র্যও দর্শক চায়। যদি নির্মাতারা তা না শোনেন, তাহলে যারা আজ হিরোদের স্টার বানিয়েছেন, তারাই একদিন মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন।
কেএন/টিকে