খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম খুলনা প্রেস ক্লাবে অবরুদ্ধ বলে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রচার করেছে। যদিও আন্দোলনকারীরা বলেছেন ভিন্ন কথা। তারা জানান, প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করতে নয়, কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে প্রেস ক্লাব ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা।
গতকাল শনিবার (২৮ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, খুলনার মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। খুলনা আজ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক এবং দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগার এবং পুলিশ লীগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তাদের আশ্রয় দিচ্ছে খুলনার পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের। আরো কয়েকজন বড় বড় কর্তা রয়েছে।
আমরা প্রেস সচিব মহোদয়কে বিষয়টি জানাতে চেয়েছি, তিনি যদি ব্যবস্থা নেন, তাহলে আমরা সেগুলো মিডিয়ায় আনতে চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ একটা অবস্থান চাই।
ওই আন্দোলকারী বলেন, আমরা প্রেস সচিব মহোদয়কে বলেছি, দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। যে কারণে আমরা এখানে এসেছি।
আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, প্রেস সচিব মহোদয় আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তিনি আগামীকালকের (আজ) মধ্যে এগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবেন এবং আমাদের একটা রেজাল্ট দেবেন।
তিনি আরো বলেন, এ আন্দোলনে অন্তত ২০০ জন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমি-আপনি ঘরে ফিরে গেলেও আন্দোলন থেমে যাবে না।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ দুটি মামলা রয়েছে।
এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা।
পিএ/এসএন