বর্তমান সময়টা যেন ভাসছে রিল আর ট্রেন্ডের জোয়ারে। যেখানে ভাইরাল নাচ আর ন্যাকামি ভাইরাল হওয়াই সব। ঠিক সেই সময়েই পুরনো কৌশলকে আবার ফিরিয়ে আনল যশরাজ ফিল্মস। নায়ক-নায়িকা লঞ্চের সেই চিরচেনা ফর্মুলা, নতুন মুখ, আবেগঘন গান, প্রেমের গল্প , আবারও মুঠোফোনে বন্দি দর্শকদের মন জয় করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।
‘সাইয়ারা’ নামের নতুন ছবি দিয়ে বড় বাজি ধরেছে যশরাজ। সেখানে দেখা যাবে নতুন দুই মুখ আহান পান্ডে ও অনীত পাড্ডাকে। ছবির গল্প যতটা না চোখে, তার চেয়েও বেশি কানেই পৌঁছায় — অর্থাৎ, গানই মূল হাতিয়ার।
বলিউডে এমনটা আগেও দেখা গেছে। ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’-এ রণবীর সিংয়ের উত্থান, ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এ তিন তারকার আবির্ভাব, এমনকি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ বা ‘সাওয়ারিয়া’র মতো ছবি যেখানে সিনেমা জমেনি, সুর মনে রয়ে গেছে। সুর দিয়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে নতুন তারকারা। আর সেই সুরের ঘরে এবার প্রবেশ করল ‘সাইয়ারা’।
ছবির শিরোনাম গান ইতিমধ্যেই হৃদয়ভাঙা প্রেমের প্রতীক হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি ‘হামসাফার’ গানের কোমল রোমান্স আর সিনেমাটিক আবহ কিছুটা যেন পুরনো বলিউডকে ফিরিয়ে আনছে। যশরাজ চায়, এই আবেগময় সুরই দর্শকের মনে গেঁথে দিক নতুন মুখদের।
তবে ঝুঁকি যে কম নয়, তা বলাই বাহুল্য। আহান বা অনীত কেউই এখনো দর্শকের কাছে পরিচিত নন। নেই কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারের সেনা, নেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আগের পরিচিতি। শুধু সুর আর সংবেদনের উপর দাঁড়িয়ে তাঁদের যাত্রা শুরু। যশরাজ যেন বলছে, তারা চটজলদি তারকা তৈরি করতে নয়, দীর্ঘ পথের সঙ্গী গড়তে এসেছে।
প্রশ্ন একটাই — গান যতোই ভালো হোক, নতুন যুগের দর্শক কি শুধু সুরেই আটকে থাকবে? না কি এই আবেগ একসময় স্ক্রোলের নিচে হারিয়ে যাবে?
এই মুহূর্তে ‘সাইয়ারা’ ভালো করছে, গানের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু শেষ কথা বলবে বড় পর্দা, যখন আলো নিভবে, পর্দা জ্বলবে — আর সেই নবাগত মুখগুলো দর্শকের সামনে দাঁড়াবে একা।
এসএন