২০২৫ সালের প্রথমার্ধে সিনেমার জগত যেমন উত্তেজনায় ভরা ছিল, তেমনি ছিল কিছু নিখুঁত গল্প আর অভিনয়ের রত্নে ঝলমল। যারা বড় পর্দায় মিস করেছেন, তাদের জন্য স্বস্তির খবর- এই ছবিগুলো এখন হাতের নাগালে। ওটিটি পর্দায় এখন নানা স্বাদের গল্প, ইতিহাস, হাস্যরস আর রোমাঞ্চে দর্শকদের মুগ্ধ করছে।
প্রথমেই আছে আকাশের বুকে লেখা বীরত্বের কাহিনি। ভারতের প্রথম বিমান হামলাকে ঘিরে তৈরি হওয়া ছবিতে অক্ষয় কুমারের দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। সেই ছবির নাম আকাশ বাহিনী। ইতিহাস আর দেশপ্রেমের মিশেলে তৈরি এই ছবি স্ট্রিমিং দুনিয়ায়ও সমান জনপ্রিয়।
এবার একেবারে অন্য স্বাদের গল্পে যাই। পাকিস্তানে আটকে পড়া এক মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে দূত। জন আব্রাহামের বলিষ্ঠ উপস্থিতি আর শক্ত গল্প এই ছবিকে আলাদা করেছে।
সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ, শত্রুর খোঁজে এক অফিসারের যুদ্ধে লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে গ্রাউন্ড জিরো। ইমরান হাশমির আবেগপূর্ণ অভিনয় আর বাস্তবভিত্তিক কাহিনি এটিকে সেরা থ্রিলারের কাতারে তুলে দিয়েছে।
হাসি আর স্বপ্নের গল্প নিয়েও এসেছে এক রত্ন। মালে্গাঁওয়ের সাধারণ মানুষের সিনেমা বানানোর স্বপ্নকে কেন্দ্র করে তৈরি সুপারবয়েজ অফ মালে্গাঁও। হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বেদনা আর লড়াইয়ের গল্পে এই ছবিকে বলা হচ্ছে বছরের সেরা আন্ডারডগ রত্ন।
ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে তৈরি হয়েছে কেশরী অধ্যায় দুই। জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের পর এক আইনজীবীর সাহসী লড়াইকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে টানটান কোর্টরুমের নাটক। অক্ষয় কুমারের সঙ্গে আর মাধবন আর অনন্যা পাণ্ডের অভিনয় ছবিটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
নারীর নিঃসঙ্গতা, দাম্পত্য জীবনের জটিলতা আর অভ্যন্তরীণ লড়াই নিয়ে তৈরি সিস্টার মিডনাইটও দর্শকদের নজর কেড়েছে। রাধিকা আপ্টের নিখুঁত অভিনয় ছবিটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
সবশেষে আছে রেইড দুই। অজয় দেবগন আবারও সেই কড়া হিসাবি কর্মকর্তার ভূমিকায় যিনি এবার সবচেয়ে বিপজ্জনক দুর্নীতিকে ধরতে নামে। রাজনৈতিক উত্তেজনা আর শক্তিশালী গল্প এটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
যা বলার তা একটাই, সিনেমা হলে না গিয়েও দর্শকরা ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছেন গল্প, ইতিহাস, হাসি আর থ্রিলারের এক অনন্য মেলবন্ধন। বছরটা প্রমাণ করে দিয়েছে, আসল যুদ্ধটা এখন বড় পর্দা নয়, বরং ওটিটি পর্দায়।
কেএন/টিকে