মিয়ানমারে চলমান নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার। বাংলাদেশের কিংবদন্তি নারী ফুটবলার সাবিনা খাতুনকে দলেই রাখেননি ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার। অথচ বাফুফের ওয়েবসাইটে সাবিনা খাতুন এখনো অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন।
যে কোনো ফেডারেশনের ওয়েবসাইট হচ্ছে দর্পণ কিংবা তথ্য ভান্ডার। সারা বিশ্ব থেকে ফুটবলপ্রেমীরা ওয়েবসাইট থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। বাফুফের ওয়েবসাইট সেই আঙ্গিকে তথ্য সমৃদ্ধ তো নয়-ই বরং হালনাগাদও নয় ৷ সাবিনাকে অধিনায়ক, মাসুরা, কৃষ্ণা, সানজিদা, সুমাইয়াকে এখনো জাতীয় দলে খেলোয়াড় হিসেবে দেখানো হচ্ছে। অথচ তারা মার্চ উইন্ডোতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মে মাসে জর্ডান সফর এবং চলমান এশিয়ান নারী বাছাইয়ের টুর্নামেন্টে দলেই নেই।
নারী দলের তথ্য হালনাগাদ না থাকলেও পুরুষ জাতীয় ফুটবল দলের প্রোফাইল দারুণভাবে সুসজ্জিত রয়েছে। সিঙ্গাপুর ও ভুটান ম্যাচে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ২৬ জন ফুটবলারের হোম জার্সিতে সুন্দর হেড শট ফটো রয়েছে। বাফুফের কিট পার্টনার দৌড় হোম ম্যাচের আগে এই ফটোশুট করেছিল। পুরুষ দলের মতো নারী দলের ফটোশুট এখনো দেখা যায়নি। অথচ এই নারী ফুটবল দল টানা দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়ন। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের উচ্চ র্যাংকিংধারী দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত পয়েন্ট আদায় করছে। সেখানে বাফুফে ব্র্যান্ডিংয়ে নারী দল খানিকটা পিছিয়েই রেখেছে।
বাফুফের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ফেসবুক পেজ অনেক সক্রিয় হয়েছে। ওয়েবসাইটের অবস্থা ছিল বেশ বহাল। সেখান থেকে খানিকটা উত্তরণ হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত বিরতিতে কিছু আপডেট যাচ্ছে।
২০২৪ সালের অক্টোবরের নারী সাফ স্কোয়াড এখনো জাতীয় দল হিসেবে থাকা ওয়েবসাইট নিয়ে বাফুফের সামগ্রিক মন্থরতাই প্রকাশ করে। জুনের মাঝামাঝি বাফুফের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মার্কেটিং ও ডিজিটাল মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওয়েবসাইট পূর্ণাঙ্গরূপে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
পিএ/এসএন