দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে নিজের জন্মদিন, ব্যক্তিগত জীবন ও কলকাতার প্রতি টান নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। জীবনের ছোট ছোট মুহূর্ত আর প্রিয় শহরের প্রতি ভালোবাসায় ভরপুর এই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তার অনুভূতির গভীরতা।
জন্মদিনে কেমন উপহার পেতে ভালো লাগে জানতে চাইলে জয়া জানান, তার একটি দীর্ঘ ‘বাকেট লিস্ট’ রয়েছে। সেই তালিকা থেকে কেউ কিছু উপহার দিলে তিনি বেশ আনন্দ পান। একটি ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘যেমন রাস্তা দিয়ে যেতে-যেতে একটা শাড়ি চোখে পড়ল। ভাবলাম কিনব, দেখলাম আমার বন্ধু সেই শাড়িটা কিনে ফেলেছে। মন ভালো হয়ে গেল।’ তবে সবচেয়ে বেশি খুশি হন গাছ উপহার পেলে।
কলকাতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জয়া বলেন, ‘এই শহরের একটা অদ্ভুত চরিত্র আছে। ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন, ফলে আমার ভীষণ ভালো লাগে। পৃথিবীর অন্য কোনো শহরকে কলকাতার মতো মনে হয় না।’
স্মৃতির খাতায় ছোটবেলার একটি অনুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় মাকে অনেক চিঠি লিখেছি। সেই লেখার মধ্যে অসম্ভব ছেলেমানুষি ছিল। নানা রঙ দিয়ে লিখতাম। মা দেখে খুব হাসতেন, সবাইকে পড়ে শোনাতেন। তখন খুব রাগ হতো। কিন্তু এখন যদি মাকে চিঠি লিখতে বলেন, কলম থেকে এক বর্ণও বেরবে না। সবটাই অব্যক্ত থেকে যাবে।’
নিজের সৌন্দর্য নিয়ে জয়ার ভাবনা অনেকটাই সহজ। তিনি বলেন, ‘আমি ধরে রাখার চেষ্টা করি না। সব খাই—আপনার সামনেই তো কেক খেলাম, পায়েস খেলাম। মুড়ি খেলাম। নানা রকম খাবার খাই, আমি খেতে ভালোবাসি। অত ভাবি না।’
জন্মদিনের বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে জয়া জানান, ‘এই প্রথম আমার জন্য পায়েস রান্না হয়েছে। আমার বন্ধু মুনমুন বানিয়েছে। রাতে খাওয়ানোর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু আমি আগেই বের করে অর্ধেক বাটি খেয়ে নিয়েছি। এটা একটা পরম পাওয়া।’