গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৮.৫৮ শতাংশ

সদ্যবিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৫৮ শতাংশ বেশি।

বুধবার (২ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত অর্থবছরের জুলাই-জুন মাসে বেড়েছে দেশের রপ্তানি আয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮.৫৮ শতাংশ। বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৪৪৬ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাত

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৩৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলারে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জুন মাসে আয় ছিল ৩ হাজার ৬১৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার।

তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ২ হাজার ১১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জুন মাসে এ আয় ছিল ১ হাজার ৯২৮ কোটি ২১ লাখ ডলার।

এছাড়া ১ হাজার ৮১৮ কোটি ৭৮ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জুন মাসে এ আয় ছিল ১ হাজার ৬৮৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ২ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলারে।

আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ। জুলাই-জুন মাসে রপ্তানি হয়েছে ১১৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এছাড়া কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলারে।

এদিকে সদ্যবিদায়ী জুন মাসে দেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৩৩৩ কোটি ৭৯ লাখ মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা কমেছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভেঙে দেয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহাল চায় নেপালের শীর্ষস্থানীয় আট দল Sep 14, 2025
img
জিম্মি চুক্তির পথে প্রধান বাধা নেতানিয়াহু Sep 14, 2025
img
লালনগানের রানী ফরিদা পারভীন: এক অনন্ত সুরের যাত্রী Sep 14, 2025
img
আজ থেকে চাকসুর মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু Sep 14, 2025
img
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক আজ Sep 14, 2025
img

ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ Sep 14, 2025
img
কাতারে হামলায় মার্কিন-তেলআবিব সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: যুক্তরাষ্ট্র Sep 14, 2025
img
ডাকসুতে শিবির প্যানেল ৫ মাসে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে: শিবির সেক্রেটারি Sep 14, 2025
img
টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় বড় হারের স্বীকার বাংলাদেশ: জাকের Sep 14, 2025
img
গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত, গৃহহীন ৬ হাজার Sep 14, 2025
img
সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বাগেরহাটে চলছে অফিস-আদালত অবরোধ কর্মসূচি Sep 14, 2025
img
ন্যাটো দেশগুলো তেল কেনা বন্ধ করলে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবেন ট্রাম্প Sep 14, 2025
img
নেপালে নতুন রাজনৈতিক সংকট, পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবি প্রধান দলগুলোর Sep 14, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৩২তম Sep 14, 2025
img
তরুণদের প্রথম ভোটটি হোক ধানের শীষে : টুকু Sep 14, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে বাতিল প্রার্থীতা Sep 14, 2025
img
জেনে নিন, দেশে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 14, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা Sep 14, 2025
img
বাংলাদেশের ম্যাচ হারার ব্যাখ্যা দিলেন লিটন Sep 14, 2025
img
মার্কিন বাজারে বাড়ছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি Sep 14, 2025