কোভিড টেস্টে স্বস্তি, কমল পরীক্ষার খরচ

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের কোভিডের আরটিপিসিআর ও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার খরচ কমিয়ে নতুন ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এখন থেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আরটিপিসিআর ২০০০ টাকা এবং র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।

বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এতদিন আরটিপিসিআরে ৩০০০ টাকা এবং র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৭০০ টাকা নিয়ে আসছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে বুধবার দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার কোভিড-১৯ রোগনির্ণয় ও ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সভা হয়। ওই সভায় বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোভিডের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষার নতুন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত ফির বেশি আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চলতি বছর ৬১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৬২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২২ জনের।

কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭৫৫৯ জনের প্রাণ কেড়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে ১৩৬৮ জন এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জন মারা যায় কোভিডে। 

 ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলেছে।



ইউটি/এসএন



Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেওয়া অস্বীকারটা করলো কে?: জিল্লুর রহমান Nov 13, 2025
img
সরকারে শাটডাউন অবসানে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস Nov 13, 2025
img
শুভ জন্মদিন কথার জাদুকর Nov 13, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ Nov 13, 2025
img
দীর্ঘ আট মাস পর মসজিদুল হারামের ইমামতিতে ফিরলেন শাইখ ড. ফয়সাল Nov 13, 2025
img
নিখুঁত মুহূর্তের অপেক্ষা নয়, আজ থেকেই শুরু করুন : শেফালী শাহ Nov 13, 2025
img
বগুড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ Nov 13, 2025
img
রাজপথের আওয়ামী লীগ অধিক শক্তিশালী ও জনপ্রিয় : রিচি সোলায়মান Nov 13, 2025
img
নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা দিলেন প্রেম চোপড়া Nov 13, 2025
img
কাজ মানসিক অফিসের মত, ঘরেই শান্তি: মনোজ বাজপেয়ী Nov 13, 2025
img
‘ভিলেন না থাকলে হিরোর কোনো দাম নেই’ - অমরিশ পুরী Nov 13, 2025
img
টাকা নয়, সততাই সাফল্যের আসল শক্তি: পঙ্কজ ত্রিপাঠী Nov 13, 2025
img
দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটনা ‘সন্ত্রাসী হামলা’ কি না স্পষ্ট করলো ভারত Nov 13, 2025
img
হিট হলে আমি জিনিয়াস, ফ্লপ হলে কিছুই জানি না: দুলকার সালমান Nov 13, 2025
img
আলভারেজকে ঘিরে দুই ক্লাবের দ্বন্দ্ব, নতুন সিদ্ধান্তে আতলেতিকো Nov 13, 2025
img
খ্যাতির চেয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই পালাক মুছালের জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন! Nov 13, 2025
img
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ জানানো হবে আজ Nov 13, 2025
img
সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ চারজন আটক Nov 13, 2025
img
মিসরে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি তরুণী Nov 13, 2025
img
মোটরসাইকেলে এসে অটোরিকশায় আগুন দিয়ে পালাল দুর্বৃত্তরা Nov 13, 2025