সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেছেন, ছোট্ট রিয়ার নামে একটি স্টেডিয়াম হয়েছে। সেখানে যখন বাচ্চারা খেলতে যাবে, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ রিয়ার নামটা থাকবে। তারা যখনই দেখবে, তখনই জিজ্ঞেস করবে, এই নাম কেন দেওয়া হলো? তখনই রিয়ার গল্পটা সবাই জানবে। স্টেডিয়ামে সুন্দর একটা কর্নার থাকবে।
সেখানে আমাদের যে বাচ্চারা হারিয়ে গেছে, তাদের নামসহ একটি কর্নার থাকবে। আজ রিয়ার মায়ের কাছে আসতে পেরেছি। সব শহীদের বাড়িতে যাওয়া কঠিন। তবে এই এগারোটি মেয়ে যারা শহীদ হয়েছেন।
এই প্রথম, এগারো জন মেয়ে এবং ১৩৫ শিশু শহীদ হয়েছে, আমরা চাই তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে।
রবিবার (৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় শহীদ রিয়া গোপের বাড়িতে যান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ। এসময় রিয়া গোপের পরিবারকে তিনি এই হত্যার বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
তিনি বলেন, আমরা পুরো মাসটিকে ডেডিকেট করেছি এই জুলাই আন্দোলনের ওপর।
যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে এটা বলা—‘আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং ভুলব না’। তোমরা যে আত্মত্যাগ করে গেলে, যে ক্ষতি তোমাদের হয়েছে, সেটার জন্য রাষ্ট্র সর্বোচ্চটা করবে। এ দেশের মানুষও তাদের স্মরণে রাখবে। এটা যেন আমাদের মননে থাকে, বয়ানে থাকে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএন/টিকে