জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের চোখের জল মুছতে চাই আমরা : শারমিন মুরশিদ

অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ বলেছেন, ‘দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার জুলাই অভ্যুত্থানে ১১ মেয়ে ও ১৩৫ শিশু শহীদ হয়েছে। তাদের পরিবারের চোখের জল মুছতে চাই আমরা।’

রবিবার (৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের শহরের নয়ামাটি এলাকায় ছয় বছর বয়সী শহীদ শিশু রিয়া গোপের পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘যে বাচ্চাগুলো শহীদ হয়েছে আমরা মনের ভেতর তাদের এই একটা বছরের প্রতিটি মুহূর্ত ধারণ করেছি।

ব্যস্ততার অজুহাত দেব না, নানা ব্যস্ততার জন্য আমরা ছুটে আসতে পারিনি। কিন্তু এবার পুরো জুলাই মাসকেই ডেডিকেটেড করেছি, জুলাই আন্দোলনে যারা চলে গেছে তাদের কাছে গিয়ে বলা যে আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং তোমাদের ভুলব না।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদদের যে কারণে এই আত্মত্যাগ একটি সুন্দর সমাজ ও নিরাপদ বাংলাদেশ সেটি গড়তে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২৪-র জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ রাখবে রাষ্ট্র ও দেশের মানুষ।

‘ছোট্ট রিয়ার নামে একটি স্টেডিয়াম হয়েছে। যতবার বাচ্চারা খেলতে যাবে রিয়ার নামটা তারা দেখবে। সবাই জানতে চাইবে এটার নাম রিয়া হলো কেন? তখন কিন্তু রিয়ার গল্পটা সবার সম্মুখে আসবে। আজকে রিয়ার মায়ের কাছে এসেছি, রিয়ার ব্যাপারে অনেকবার ভেবেছি আজকে আসতে পেরেছি।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘সব শহীদের বাসায় যাওয়া কঠিন ব্যাপার, কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার ১১টি মেয়ে এবং ১৩৫টি শিশু শহীদ হলো, তাদের পরিবারের চোখের জল মুছতে চাই আমরা। যে কারণে এরা প্রাণ দিল সেই সমাজটা গড়তে চাই, যেন আমাদের শিশুরা নিরাপদ একটা বাংলাদেশ পায়।’

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাম্পের কাছ থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পরিষ্কার অবস্থান জানতে চান জেলেনস্কি Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

সুপার ফোরে যেতে শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ Sep 17, 2025
img
রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা Sep 17, 2025
img
নাসুম ও রিশাদরা দারুণ বোলিং করেছে, ওপেনিং জুটি দরকার ছিল: লিটন দাস Sep 17, 2025
img
রংপুরে পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার Sep 17, 2025
img
আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব, প্রমাণ ডাকসু : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখলো টাইগাররা Sep 17, 2025
img
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেত্রী সুইটি গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের Sep 16, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৬১ Sep 16, 2025
img
কারাবন্দিদের মধ্যে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু Sep 16, 2025
img
ভর্তি বাতিল গোলাম রাব্বানীর, অবৈধ হচ্ছে ডাকসুর জিএস পদও Sep 16, 2025
img
বিএনপি ছাড়া নারীবান্ধব দল বাংলাদেশে আর একটিও নেই : ফারজানা শারমিন Sep 16, 2025
img
বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখিয়েও হতাশ করলেন লিটনরা Sep 16, 2025
img
সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে আগুন, ৮ শ্রমিক দগ্ধ Sep 16, 2025
img
তামিমের ছক্কার রেকর্ড, এক বছরে সর্বাধিক ছয় বাংলাদেশের Sep 16, 2025
img
নারীদের ক্ষমতায়ন ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ : উপদেষ্টা Sep 16, 2025
img
দিল্লিতে বৈঠকে নতুন অধ্যায় খুলছে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের Sep 16, 2025
img
ব্লক মার্কেটে ২১ কোটি টাকা লেনদেন Sep 16, 2025