অন্তর্বর্তী সরকার ড. ইউনূস সার্কেলের একটা পুনর্বাসন কেন্দ্র : রাশেদ খাঁন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সার্কেলের একটা পুনর্বাসন কেন্দ্র বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। গণ-অভ্যুত্থানে যে এলিটরা রাজপথে নামেনি তাদের নিয়ে গ্রামীণ বক্স সরকার গঠিত হয়েছে বলেও দাবি তার।

আজ সোমবার (৭ জুলাই) নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন রাশেদ খাঁন।

ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, গণ-অভ্যুত্থান কিভাবে বেহাত হয়েছে, ফারুকী উপদেষ্টা হওয়ার পর, তা আর না বোঝার কিছু নাই।
যে এলিটরা রক্ত দেয়নি, রাজপথে নামেনি, তাদের নিয়ে গ্রামীণ বক্স সরকার গঠিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সার্কেলের একটা পুনর্বাসন কেন্দ্র। তার নিজের কাছের যত অযোগ্য লোক ছিল, তাদের সবাইকে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় সেটাপ করেছেন তিনি। তার প্রতি আনুগত্য ও চাটুকারিতার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।

রাশেদ খাঁন বলেন, আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের কাছ থেকে আরো ভালো কিছু প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু তিনি নিজ বিভাগ চট্টগ্রাম, আত্মীয় স্বজন ও এলিট সার্কেল ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারেননি। দেশ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা খাতের সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন করা দরকার ছিল। কিন্তু গ্রামীণ বাংকের ম্যানেজার দিয়ে চিকিৎসা খাত মেরামত করাচ্ছেন তিনি, আর শিক্ষা উপদেষ্টা পরিবর্তনের পর থেকে নতুন উপদেষ্টার কোনো কাজ তো দৃশ্যমান নয়।

১১ মাসে অনেক কাজ করে তাক লাগিয়ে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু সেই পুরনো আত্মীয় ও দলীয়করণ ছাড়া আর নতুন কিছুই দেখলাম না।

সত্য কথা বলতে গেলে দালাল ও সুবিধাভোগীরা বেজার হবে জানিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, কিন্তু কাউকে না কাউকে তো বলতে হবে। একজন নিরীহ ও সহজসরল মানুষকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বানিয়েছেন, যিনি জনগণের মনোযোগ কাড়তে আকর্ষণীয় অভিনয় কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু অভিনয় করে তো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ঠিক করা যায় না, যোগ্যতার প্রয়োজন আছে।

যদি উপদেষ্টাদের প্রত্যেকের ১১ মাসের কাজের জবাবদিহিতা করেন, দেখবেন অনেককে এপিএস ও পিওদের মতো দুদকে দৌঁড়ানো লাগবে। কথা ছিল প্রতি মাসে জনগণের কাছে উপদেষ্টা ও সচিব-কর্মকর্তাদের আর্থিক হিসাব দিবে। কিন্তু ১১ মাসে ১১ বার দেওয়ার কথা থাকলেও ১ বারও সেই হিসাব দাখিল করতে পারেনি। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সংস্কারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ আগে সরকার থেকে আসা দরকার ছিল, কিন্তু তারা নিজেদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রদর্শন করবেন না, তারা শুধু জবাবদিহিতা চাইবেন।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশি স্পিনারদের মোকাবেলায় বিশেষ পরিকল্পনা করছে শ্রীলঙ্কা Jul 07, 2025
img
বরখাস্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুশ মন্ত্রীর আত্মহনন Jul 07, 2025
img
চীনের সমর্থন ইস্যুতে ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান Jul 07, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইল ইসি Jul 07, 2025
img
ফজলুর রহমানের বক্তব্যের প্রতিবাদ ছাত্রদল নেত্রীর Jul 07, 2025
img
নারী নিয়ে রেস্ট হাউজে যাওয়ায় মহেশপুর থানার ওসি প্রত্যাহার Jul 07, 2025
img
সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের আদেশ ২০ জুলাই Jul 07, 2025
বীর সন্তানদের ভুলে গেলে জাতি এগোতে পারে না: চিফ প্রসিকিউটর Jul 07, 2025
img
জুলাইকে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে নব্য মিরজাফর হিসেবে চিহ্নিত হবে: চিফ প্রসিকিউটর Jul 07, 2025
img
'দুদক সংস্কারে এনবিআরের নথি সংক্রান্ত বিএনপির অবস্থান হতাশাজনক' Jul 07, 2025
img
নারী ছাড়া কোনো আন্দোলন-বিপ্লব সফল হতে পারে না : সামান্তা শারমিন Jul 07, 2025
img
নিবন্ধন পেলে চমক সৃষ্টি করতে চাই : রফিকুল আমিন Jul 07, 2025
img
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রভিশন সংরক্ষণের নতুন নির্দেশনা জারি Jul 07, 2025
img
প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্জী এবার 'গৌরী' চরিত্রে! প্রথম লুক ও টিজার পোস্টার প্রকাশ Jul 07, 2025
img
আমার মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন জীবনসঙ্গী দরকার: বাঁধন Jul 07, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ, বহিষ্কার ৪৩ শিক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষক Jul 07, 2025
img
"আপনারা বেনজীর বা হারুন হবেন না"- ডিসি-এসপিদের হাসনাতের সতর্কবার্তা Jul 07, 2025
img
হংকংকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ Jul 07, 2025
img
‘ধুরন্ধর’-এর টিজার, আর তাতেই শুরু হয়েছে চর্চা, তুলনা আর তীব্র উত্তেজনা Jul 07, 2025
img
মুক্তির ৩য় দিনেই অনুরাগের বড় সাফল্য, 'মেট্রো ইন দিনো’ ছাড়িয়ে গেল ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ কে Jul 07, 2025