অস্ট্রেলিয়ায় পোশাকের পাশাপাশি নতুন পণ্য রপ্তানি ও বিনিয়োগ আকর্ষণের তাগিদ

বিকল্প রপ্তানি বাজার হিসেবে সম্ভাবনার হাতছানি অস্ট্রেলিয়ায়। ইউরোপ আমেরিকার বিকল্প ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই। এর নেতৃত্ব দিচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন নতুন পণ্য দিয়ে কয়েকগুণ রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্টের সুযোগও তৈরি হতে পারে।

আয়তনে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তর দেশ অস্ট্রেলিয়া। পৌনে তিন কোটি লোকের দেশটি বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০তম অবস্থানে। ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি বাংলাদেশের রপ্তানি ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যৌথ বাণিজ্যে টিফা চুক্তির ফলে রপ্তানিতে সুবিধা পায় বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক, হোমটেক্স,মাছ, কাঁকড়া, পাট, চামড়া, হস্তশিল্প রপ্তানি হয় সে দেশে।

বিপরীতে তুলা, গম, তেলবীজ, ডাল, কপার,জিংক,লোহা আমদানি হয়। গত ৫ বছরে তৈরি পোশাকের নেতৃত্বে রপ্তানি বাড়ছে। তবুও এখনো বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি আব্দুল খান রতন জানান, পাটজাত পণ্যের ভালো বাজার আছে দেশটিতে। পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য, আইটি সেবা, মৌসুমি ফলেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।বাণিজ্য ঘাটতি কাটিয়ে বহুমুখী পণ্য রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।

শুধু রপ্তানি নয় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের দশম দেশ অষ্ট্রেলিয়া। এই অঙ্ক আরও বাড়ানো সম্ভব। আব্দুল খান রতন বলেন, অস্ট্রেলিয়া উৎপাদনমুখী শিল্পের দিকে ঝুঁকছে। তাই দেশে বিনিয়োগ আনতে দেশটির ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে হবে।

দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে এবং রপ্তানি পণ্যের বহুমুখী সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অক্টোবর মাসে সিডনিতে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী। পাশাপাশি এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং ইপিবি-বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশ নেবেন।

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে গেলে শুল্কছাড় পাওয়া যাবে না। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। যার সুযোগ তৈরি হতে পারে সিডনিতে অনুষ্ঠিতব্য এক্সপোতে।

এলডিসি উত্তরণ সামনে রেখে কৌশল ঠিক করার এখনি সময়। তাই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এই আয়োজন সামনে রেখে এলডিসি পরবর্তী আলোচনাও এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

আরআর/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img
'লোকাহ' চ্যাপ্টার ১ -এ চন্দ্রা-র সাফল্যের কারণে কান্তা মুক্তির তারিখ পিছিয়ে Sep 14, 2025
img
অভিনয় ছেড়ে এবার প্রযোজনায় স্বীকৃতি মজুমদার Sep 14, 2025
img

যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারলে শুল্কহ্রাসের আরো সম্ভাবনা রয়েছে Sep 14, 2025
img
কোহলি না থাকায় স্বস্তিতে পাকিস্তানের বোলাররা: গাভাস্কার Sep 14, 2025
img
স্বরা-ফাহাদের প্রেমে কিউপিড হয়ে এল এক বিড়ালছানা Sep 14, 2025
img
২ গান বাদ দিয়ে গল্পের কেন্দ্রবিন্দু অক্ষুণ্ণ রাখল মিরাই Sep 14, 2025
img
আওয়ামী আমলে শিক্ষাকে ক্লাসরুম থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল : প্রিন্স Sep 14, 2025
img
বেটিং কাণ্ডে ইডির তলব, জেরার মুখে মিমি ও উর্বশী Sep 14, 2025
img
মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ফখরুল, গয়েশ্বর, আব্বাসসহ ৭০ জন Sep 14, 2025
img
ফরিদা পারভীনের প্রতি ভিডিওকলে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন রুনা লায়লা Sep 14, 2025
img
মোদির মণিপুর সফরকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় Sep 14, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার আরও ১৫৯৮ Sep 14, 2025
img
বিয়ে করলেন শাবানার ছেলে Sep 14, 2025
img
হলিউড নিয়ে ধানুশের ক্যারিয়ারের নতুন সম্ভাবনা! Sep 14, 2025
img
দোহায় আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলন যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img
অবশেষে গ্রেপ্তার ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন নুসরাত ফারিয়া Sep 14, 2025
img
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মী বহিষ্কার Sep 14, 2025
img
সরকার চায় মব থাকুক : রুমিন ফারহানা Sep 14, 2025
img
সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায়! Sep 14, 2025