প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগে যেভাবে নির্বাচন হয়েছিল, সেটা হচ্ছে লোক দেখানো। সেজন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে একটা প্রকৃত নির্বাচন আয়োজনের ট্রেনিং দিতে হবে। কার কি ভূমিকা সেটা পরিষ্কার থাকতে হবে। দরকার হলে রিহার্সাল (মহড়া) নির্বাচন করতে হবে, যাতে অনুশীলন হয়।
বুধবার (৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে এ কথা বলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে বলেছেন, যাতে ভোটাররা প্রশিক্ষিত হতে পারেন। টিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিগুলো প্রচার করতে হবে।
জরুরি নম্বর সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। নারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অর্ধেক ভোটার নারী, কেউ যেন ভোটের অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করতে না পারে। এ জন্য পর্যাপ্ত নারী কর্মকর্তা মোতায়েন থাকতে হবে।’
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ১৬ বছর মানুষ ভোট দেখেননি। ভোটারদের স্মৃতিতে আছে ভোটকেন্দ্রে মারামারি, ভোট চুরি। আগামী নির্বাচনে ভোটারদের যেন একটি ভালো অভিজ্ঞতা হয়, একটা সুন্দর স্মৃতি থাকে, প্রথম ভোট যাঁরা দেবেন, এটা তাঁদের জন্য গৌরবের, তিনি যেন ভালো অনুভব করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভোটের সময় ইন্টারনেট যাতে সচল থাকে এবং প্রকৃত গণমাধ্যম যাতে দায়িত্বপালন করতে পারে, এ জন্য আগে থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকের নামে যাতে কেউ দলীয় কর্মীকে নির্বাচনী কেন্দ্রে পাঠাতে না পারেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
কেএন/টিএ