রাজনীতির ছত্রছায়ায় সংঘটিত খুন, দখলদারি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সংগঠনটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশীদ) বলেছেন, ‘প্রতিটি খুন, প্রতিটি হামলার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে। রাজনৈতিক শেল্টার ছাড়া এসব ঘটনা ঘটছে না। এই রাজনৈতিক শক্তিগুলোই হায়েনা-দানব তৈরি করছে।’
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) নামের ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যাসহ সারা দেশে চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা ও খুনের পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, সোহাগ নামের এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেই লাশের ওপর নৃত্য করা, এগুলো আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময়ে শোনা গেছে। বাংলাদেশে সেই আইয়ামে জাহেলিয়াত ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র চলমান।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করছেন। সেই ষড়যন্ত্রে পা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো দেখা যাচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যখন মিছিল হয় তখনও তাদের শিবির, জঙ্গি, অপচেষ্টাকারী, বিএনপিবিরোধী, বাংলাদেশবিরোধী, হাসিনাপন্থী, ছাত্রলীগ, সাবেক ছাত্রলীগ- নানাবিধ ট্যাগের মাধ্যমে বিতর্কিত করা হচ্ছে। এই ট্যাগিং-পন্থা হলো শেখ হাসিনার স্টাইল।’
বিএনপি নেতৃত্বের অনেকেই স্বৈরাচারী শাসনামলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুনভাবে কাউকে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহবাগ মোড়ে মশাল মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে নিজ নিজ প্ল্যাটফরম থেকে নিজ নিজ ব্যানারে, নিজ নিজ জায়গা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনামুল হাসান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।