চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় ৭ম দিনে অনুপস্থিত ১৭ হাজার, বহিষ্কার ১৮ জন

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সপ্তম দিনে দেশব্যাপী অনুপস্থিত ১৭ হাজার ৭৪৭ পরীক্ষার্থী। একই দিনে কেন্দ্রের নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে ১৮ জন পরীক্ষার্থী এবং একজন পরীক্ষককে।

রোববার (১৩ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সারা দেশের কেন্দ্র থেকে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।

সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র (১৭৫), হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (২৫৪), যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয় পত্র (১২২), হাদিস ও উসূলুল হাদিস (২০২), ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-২, ট্রেড-২ এবং উচ্চতর হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির দেয়া তথ্যমতে, মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী মধ্যে এদিন অংশ নিয়েছেন ৭ লাখ ২০ হাজার ১২২ জন। পরীক্ষায় অংশ না নেয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৪৭ জন। একই দিনে ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে এবং একজন পরীক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে বিভিন্ন অভিযোগে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ২৭৯১ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীতে ১২৯৬, কুমিল্লায় ১২৪৪, যশোরে ১০৩৯, চট্টগ্রামে ১৩৫৪, সিলেটে ৮৬৫, বরিশালে ৫৫৯, দিনাজপুরে ১০১৩ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে অনুপস্থিত ছিলেন ৬৪৭ জন পরীক্ষার্থী। এসব বোর্ডে গড়ে অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৬১ শতাংশের মধ্যে ছিল।

এদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে হাদিস ও উসূলুল হাদিস বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল ৮৪ হাজার ২৩৪ জন পরীক্ষার্থীর। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ৭৯ হাজার ২১৮ জন। অনুপস্থিত ৫ হাজার ১৬ জন, যা প্রায় ৫.৯৫ শতাংশ। বহিষ্কার করা হয়েছে ৮ জনকে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-২, ট্রেড-২ ও উচ্চতর হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৫৮৫ জন। উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ৬৫৯ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ১৯২৬ জন পরীক্ষার্থী এবং বহিষ্কার করা হয় ৫ জনকে।

তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের আটটি কেন্দ্রের তথ্য এ হিসাবের বাইরে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ জুন সকাল ১০টায় সারা দেশে একযোগে শুরু হয় ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। যা শেষ হবে আগামী ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্তরা দায়মুক্তি পাচ্ছেন : আসিফ নজরুল Oct 10, 2025
img
সাভারে কোটি টাকার বিষ্ণু মূর্তিসহ গ্রেপ্তার ১ Oct 10, 2025
img

নোবেল শান্তি পুরস্কার

নাম ঘোষণার আগমুহূর্তে ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট! Oct 10, 2025
img
জুলাই সনদের স্বাক্ষরকে ইতিবাচক দেখছে বিএনপি: রিজভী Oct 10, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত কারাগারে আটক থাকা চিকিৎসক আবু সাফিয়া Oct 10, 2025
img
আজ জানা যাবে ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন কিনা! Oct 10, 2025
img
আমরা তো শাপলা দিতে বাধা দেইনি, ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন? : মির্জা ফখরুল Oct 10, 2025
img
ফি দিতে না পেরে, ভারতে মেঝেতে বসেই পরীক্ষা দিতে হলো ১ শিক্ষার্থীকে! Oct 10, 2025
img
গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য আপনার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য, ফোন কলে ট্রাম্পকে সিসি Oct 10, 2025
img
গাজার সত্য প্রকাশের জন্য আমরা সাংবাদিকদের কাছে ঋণী: পোপ লিও Oct 10, 2025
img
এক চার্জেই মোবাইল ফোন চলবে টানা ৮০ বছর! Oct 10, 2025
img
রাজধানী থেকে বগুড়ার আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার Oct 10, 2025
img
যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত জাতিসংঘ: গুতেরেস Oct 10, 2025
img
বিচ্ছেদের পর হাঁটুর বয়সী মডেলের সঙ্গে হার্দিকের প্রেমের গোপন মুহূর্ত ফাঁস Oct 10, 2025
img
অবসরের আগে রোহিত-গম্ভীরের কথা শোনেননি অশ্বিন Oct 10, 2025
img
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে সর্বোচ্চ বেতন পান আনচেলত্তি, স্কালোনি ১০ নম্বরে Oct 10, 2025
img
সমালোচনার ঝড়ে ক্যাবরেরা, সংযত অবস্থানে বাফুফে সভাপতি Oct 10, 2025
img
ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ : এইচআরডব্লিউ Oct 10, 2025
img
আওয়ামী লীগের নেতা তাজুল ইসলাম তাজ গ্রেপ্তার Oct 10, 2025
img
আমি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছি, ওবামা নোবেল পেয়েছেন কিছু না করেই: ট্রাম্প Oct 10, 2025