হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরেই অতীতের নায়ক তথা সাংসদ চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল কঙ্গনা রনৌতের। এক সময়ে পর্দায় জুটি বেঁধেছিলেন তাঁরা। তার পর ফের তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায় লোকসভায়। নতুন করে চর্চায় উঠে আসে কঙ্গনা ও চিরাগের সমীকরণ। এমনকি, তাঁরা ফের জুটি বাঁধবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ বার রাজনীতির প্রসঙ্গে কঙ্গনার হয়ে সরব হলেন বিহারের হাজিপুরের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী চিরাগ।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে রাজনীতি নিয়ে এবং সাংসদ পদ নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এর মধ্যেই রাজনীতি প্রসঙ্গেই কঙ্গনার একটি গুণের প্রশংসা করেছেন চিরাগ। তাঁর মতে, কঙ্গনা রাজনৈতিক ভাবে সঠিক কথা বলেন না। সোজা কথা সোজা ভাবে বলেন বলেই কঙ্গনাকে পছন্দ তাঁর। সাংসদ হিসেবে কঙ্গনা কি কোনও ছাপ ফেলতে পারছেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন রাখা হয় চিরাগের কাছে। তখন তিনি বলেন, “একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত। বেশিরভাগ সময়েই ও কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে সঠিক থাকার চেষ্টা করে না। এটাই ওর গুণ। নির্ভীক ভাবে সমস্ত কথা স্পষ্ট করে বলতে জানে ও।”
কঙ্গনা জানেন, কখন কোথায় কতটা বলতে হয়, মনে করেন চিরাগ। এক সময়ের নায়িকার প্রশংসায় তিনি বলেন, “ও জানে, কখন কতটা বলতে হবে। সেটা রাজনৈতিক ভাবে সঠিক কি না, সেটা তর্কের বিষয়।”
২০১১ সালে ‘মিলে না মিলে হম’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন কঙ্গনা ও চিরাগ। কিন্তু অভিনয় নিয়ে সেই ভাবে আর এগোতে পারেননি লোক জনশক্তি পার্টির সাংসদ। চিরাগ নিজেই জানিয়েছেন, একটা সময়ের পরে বুঝতে পেরেছিলেন, অভিনয়ে তিনি ততটা পারদর্শী নন।
এমকে/টিএ